Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্টয়নিস ঝড়ে পাকিস্তান হলো হোয়াইটওয়াশ

 

chardike-ad

আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে তারা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমেছিল। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুঁজিটা বড় হয়নি। সহজ লক্ষ্যে নেমে মার্কাস স্টয়নিস ঝড় তুললে ১২তম ওভারে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো তারা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অ্যারন হার্ডির বোলিংয়ে ১৮.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল তারা। ১১৮ রান করতে গিয়ে শুরুতেই দুই ওপেনার বিদায় নেন। তবে স্টয়নিস ঝড় তুললে ৫২ বল হাতে রেখে জিতে যায় অজিরা। ১১.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৮ রান করে স্বাগতিকরা।

বাবর আজমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন শাহিবজাদা ফারহান। তারা বিচ্ছিন্ন হন ১৭ রান করে। মাত্র ৯ রানে স্পেন্সার জনসনের শিকার হন ফারহান।

এরপর হাসিবউল্লাহ খানকে নিয়ে বাবর ৪৪ রানের জুটিতে গড়েছিলেন। দলীয় ৬১ রানে হাসিব (২৪) ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন। হার্ডির আঘাতে ইনিংসের মাঝপথে ৭০ রানে চার উইকেট হারায় পাকিস্তান। উসমান খান (৩) ও সালমান আগাকে (১) থামান তিনি।

এই বিপর্যয় আর থামেনি। বাবর ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে জাম্পার কাছে বোল্ড হন। তারপর কেবল ইরফান খান (১০) ও শাহীন শাহ আফ্রিদি (১৬) দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।

হার্ডি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান জনসন ও জাম্পা।

লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ ওভারে ৩০ রানের মধ্যে ম্যাথু শর্ট (২) ও জেক ফ্রেজার-ম্যাকগুর্ক (১৮) আউট হন। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। জশ ইংলিসকে নিয়ে সহজ জয়ের ভিত গড়েন স্টয়নিস। দুজনের জুটি ছিল ৩৮ বলে ৫৫ রানের।

১১তম ওভারে শাহীন আফ্রিদিকে তিনটি ছয় ও এক চার মেরে ২৫ রান তোলেন স্টয়নিস ও টিম ডেভিড। ২৩ বলে পাঁচ চার ও চার ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন স্টয়নিস। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে সমতা ফেরান তিনি। আব্বাস আফ্রিদি নো বল দিয়ে জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। ২৭ বলে পাঁচটি করে চার ও ছয়ে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টয়নিস। ডেভিডের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১০ বলে ৩৩ রানের।

ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টয়নিস। ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা জনসন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট নেন তিনি।