Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সর্বকালের সেরা পাঁচ অ্যানিমেশন সিনেমা

 

chardike-ad

 

সব বয়সী চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকের কাছে অ্যানিমেশন সিনেমার প্রতি আলাদা আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকে, যেটি শুরু হয় শৈশব থেকে। এমন দর্শকের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউড যুগের পর যুগ ধরে নির্মাণ করে আসছে অ্যানিমেশন সিনেমা, যার মধ্যে

অনেক ছবি দর্শকের মাঝে এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, পরবর্তী সময়ে সেটির সিক্যুয়েলও নির্মাণ করতে হয়।কালবেলার আজকের আয়োজন সর্বকালের সেরা পাঁচ অ্যানিমেশন সিনেমা নিয়ে।

স্রেক ২

অ্যান্ড্রিউ অ্যাডামসন, কেলি অ্যাসবেরি ও কনরাড ভার্ননের পরিচালনায় স্রেক ২ মুক্তি পায় ২০০৪ সালের ১৯ মে। এ সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন মাইক মায়ার্স, এডি মারফি, ক্যামেরন দিয়াজ, জুলি অ্যান্ড্রুজ, আন্তোনিও বান্দেরা, জন ক্লি, রুপার্ট এভারেট ও জেনিফার সন্ডার্স।

সিনেমাটি তার প্রথম পর্বের থেকে দ্বিতীয় পর্বে দর্শকের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল। এর কারণ স্রেক ২ একদিকে যেমন পরীদের গল্প, তেমনি দুর্দান্ত রম্য শিষ্টাচারের সিনেমা, যেখানে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিয়ে রসিকতা এবং হলিউডের ব্যঙ্গাত্মক উপহাস দেখানো হয়েছে।

দ্য প্রিন্স অব ইজিপ্ট

দ্য প্রিন্স অব ইজিপ্টের জনপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে বেড়েছে। এর পেছনে বেশ কিছু বিশেষ কারণ আছে। এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অ্যানিমেটেড সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে এ সিনেমার লাল সাগর পার হওয়ার দৃশ্যটি সবার হৃদয়ে দাগ কেটে গেছে।

ছবিটি শুধু অপেরাটিক সাউন্ডট্র্যাকের জন্য নয়, বরং এর চরিত্রগুলোর ঘনিষ্ঠতার গভীরতার জন্য বিখ্যাত।

সিনেমাটি পরিচালনা করেন ব্রেন্ডা চ্যাপম্যান, সাইমন ওয়েলস ও স্টিভ হিকনার। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন ব্রেন্ডা চ্যাপম্যান, সাইমন ওয়েলস, স্টিভ হিকনার, রাল্ফ ফিয়েনস, স্টিভ মার্টিন ও স্যান্ড্রা বুলক। সিনেমাটি ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায়।

দ্য ওয়াইল্ড রোবট

দ্য ওয়াইল্ড রোবট একটি আবেগপূর্ণ অ্যানিমেটেড সিনেমা, যা মায়ের দায়িত্বের কঠিন সত্যতা এবং পরিবার গঠনের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করে। ‘রোজ’ নামে একটি রোবট, গল্পে সেটি একটি হাঁসের বাচ্চাকে লালনের দায়িত্ব পায়। দত্তক হাঁসের বাচ্চাকে বড় করার জন্য সহায়তা পায় পিঙ্কটেইল ও ফিঙ্কের মতো অদ্ভুত বন্ধুদের থেকে। এভাবে সিনেমার গল্প এগোতে থাকে। ছবিটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক, যা পিক্সারের সেরা কাজগুলোর মতোই দর্শকের আবেগের গভীরে পৌঁছে গেছে।

সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ক্রিস স্যান্ডার্স। ছবিতে অভিনয় করেছেন কিট কনর, পেড্রো পাস্কাল, বিল নিঘি, স্টেফানি হুসহ অনেকে। সিনেমাটি ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়।

ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট দ্য কার্স অব দ্য ওয়ের-র‌্যাবিট

ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট: দ্য কার্স অব দ্য ওয়্যার-র‌্যাবিট হলো এক চমৎকার কমেডি অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। যেখানে দেখা যায় ওয়ালেস ও তার বিশ্বস্ত কুকুর গ্রোমিট একটি বিশাল খরগোশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যা শহরের বার্ষিক সবজি প্রতিযোগিতাকে বিপর্যস্ত করে তোলে।

নিক পার্কের পরিচালনায় এ সিনেমাটি ইউনিভার্সাল মনস্টার চলচ্চিত্রের প্রভাব নিয়ে একটি হাস্যকর ও উত্তেজনাপূর্ণ গল্প উপস্থাপন করেছে। ওয়ালেস ও গ্রোমিটের অমলিন শৌখিনতা এবং কমেডি দক্ষতা এ চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে একটি পারফেক্ট ফ্যামিলি ফিল্ম হিসেবে।

সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন পিটার স্যালিস, হেলেনা বোনহাম কার্টার, রাল্ফ ফিয়েনস, পিটার কে, ননি লুইসসহ অনেকে। ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর।

চিকেন রান

ড্রিমওয়ার্কস ও আর্ডম্যান অ্যানিমেশন স্টুডিওর প্রথম সহযোগিতায় নির্মিত চিকেন রান উভয় স্টুডিওর সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি। এটিকে ১৯৬৩ সালের দ্য গ্রেট এস্কেপের একটি চমৎকার সিক্যুয়েলও বলা চলে। সিনেমার মূল গল্পটিতে একটি চমৎকার ক্লে-মোশনের মাধ্যমে পোও ক্যাম্পের প্রতিকৃতি ফুটে ওঠে, যা দেখে বোঝা যায় কেন সব মুরগি মুক্তি পেতে চায়। সিনেমার গল্পে দেখা যায় সাহসী আমেরিকান সার্কাস মোরগ রকি যখন তাদের খামারে আহত হয়, তখন সব মুরগি একটি সুবর্ণ সুযোগ পায়, নিজেদের

মুক্ত করতে। আর্ডম্যানের অন্যান্য ক্লাসিকের মতো, চিকেন রানে রয়েছে রেজার-শার্প স্ল্যাপস্টিক হিউমার এবং চমৎকার সেট পিস, যা বিশেষ করে পাখিদের চূড়ান্ত পালানোর চেষ্টাকে তুলে ধরে। ২০০০ সালের ২১ জুন সিনেমাটি নির্মাণ করেন নিক পার্ক ও পিটার লর্ড। এ ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মেল গিবসন, জুলিয়া সাওয়ালহা, লিন ফার্গুসন, ক্যারি কির্কপ্যাট্রিকের মতো তারকা।