জুবায়ের কাওলিনের মাঝে বহু আগে থেকেই জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে এক অনন্য দক্ষতা ছিল। আর এটিকে কেন্দ্র করেই তিনি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
দক্ষতাটি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইমেজিং নামেও পরিচিত। যেখানে জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বস্তু, মহাকাশীয় ঘটনা বা রাতের সুদূর আকাশের নানা ছবি তোলা হয়।
অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের ছবি তোলার জন্য খুব বিশেষ ও সম্ভবত ব্যয়বহুল সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। তবে জুবায়ের বিষয়টির দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছিলেন। নিজেই তৈরি করেছেন টেলিস্কোপ।
এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ফেসবুকে জুবায়ের ওরিয়ন, ঈগল ও রোসেট নেবুলার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিগুলি বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষজন তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতে থাকেন। কেননা তিনি বিশেষ করে নিজ যন্ত্র ব্যবহার করে সেই সমস্ত ছবি তুলেছিলেন।
পোস্টে জুবায়ের বলেন, তিনি বহু বছর ধরে ফেসবুক থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজের অন্যান্য শখ নিয়ে কাজ করেছেন; যার মধ্যে জ্যোতির্বিদ্যা একটি। সেক্ষেত্রে তিনি গত পাঁচ বছর করে নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশের ছবি তুলছেন।
বিশ্বের নানা দেশে বহু প্রতিভাবান অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঢাকার বাসিন্দা জুবায়েরও তাদের মতোই একজন। পাশাপাশি তিনি একজন পেশাদার অ্যানিমেটর ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।
অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি বিজ্ঞান ও শৈল্পিকতার এক চিত্তাকর্ষক মিশ্রণ। যা আমাদের বিশেষ ফটোগ্রাফিক কৌশলের মাধ্যমে মহাবিশ্বের শ্বাসরুদ্ধকর বিস্ময়গুলিকে ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ করে দেয়। দূরবর্তী নীহারিকাগুলির ইথারিয়াল আভা থেকে শুরু করে শনি গ্রহকে দেখতে দক্ষতাটি অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও পেশাদার ফটোগ্রাফার উভয়কেই সহায়তা করে। যা কি-না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়।
অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফির বিশেষ দিক হলো এটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনাগুলির অত্যাশ্চর্য ভিজ্যুয়াল রেকর্ড তৈরির পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অবদান রাখে। এক্ষেত্রে মহাজাগতিক নানা পরিবর্তন ও আবিষ্কারগুলিকে খুঁজতে সাহায্য করে। একইসাথে বিশাল মহাবিশ্বে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্ময় সৃষ্টি করে।