নভেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৮৭৩ কোটি টাকার বেশি প্রবাসী আয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্সের তথ্যের পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৬১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, সে তুলনায় ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাস আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর সেপ্টেম্বরে পাঠান ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশীয় মুদ্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক।
রেমিট্যান্স না আসা ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।