বাংলাদেশের কাছ থেকে ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়া আদায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরো কমিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার। বৃহস্পতিবারের পর থেকে বাংলাদেশে ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ডেটা ও বিপিডিবির কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানির গোড্ডার ১৬০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দুটি প্লান্ট থেকে আগস্টেও ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।
তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বকেয়ার অর্থ উদ্ধারে গত ৩১ অক্টোবর একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে নভেম্বরে তারা ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল বাংলাদেশে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে তা আরও কমাল আদানি গ্রুপের ওই বিদ্যুৎ কোম্পানি।
বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিডের তথ্য এবং বাংলাদেশ পাওয়ার উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার আদানি কোম্পানি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াটে নিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘে আইসিএসসির সদস্য হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিতজাতিসংঘে আইসিএসসির সদস্য হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করবো। আমরা কোনো পাওয়ার কোম্পানিকে আমাদেরকে জিম্মি করতে দেব না।‘
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ বকেয়া পরিশোধের গতি বাড়ালেও এবং গত ৭ নভেম্বরের মধ্যে অর্থ পরিশোধের একটি সময়সীমা আদানি প্রত্যাহার করলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানো অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি আদানি পাওয়ার। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের চাহিদার সাথে সাথে পেমেন্ট বকেয়া মাথায় রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে হ্রাস করা হয়েছে।