নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় দিনদুপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীর খালাকেও কুপিয়ে আহত করে। আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মনোহরদী সরকারি কলেজ রোডের আবদুস সাত্তার মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর নাম আনিকা আলম (১৪)। সে বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া গ্রামের মো. শাহজাদা আলমের মেয়ে। তার খালা পাপিয়া আক্তার (৪৯) মনোহরদীর মৃত আবদুস সাত্তার মাস্টারের স্ত্রী। খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত আনিকা। সে কৃষ্ণপুর টেক্সাইল ভোকেশনাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তিনজন জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই পরিবারের কেউ জানাতে পারেননি, কারা কেন এই হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার বিকেল বিকেল চারটার দিকে পাপিয়া আক্তার রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। পরে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে আনিকার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় পাপিয়াকে আহত অবস্থায় মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
খবর পেয়ে মনোহরদী থানার পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে আনিকার রক্তাক্ত লাশ ও রক্তমাখা একটি চাপাতি উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ থানায় নেওয়া হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এসআই শফিকুল ইসলাম আরও জানান, আহত পাপিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।