এবারের মার্কিন নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইর খবর অনুযায়ী নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হল নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়েরা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশী। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়েরা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশী ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।