মাদক ব্যবসার রমরমা হাট টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তিতে ও আবাসিক হোটেলে রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্রসহ শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গী পূর্ব থানায় আটকদের সোপর্দ করে উদ্ধারকৃত মালামাল জমা দেওয়া হয়।
যৌথ বাহিনীর সূত্র জানায়, গত রাতে টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমতলী কেরানিরটেক বস্তি ও জাভান আবাসিক হোটেল থেকে ৫১ পুরুষ ও ২১ নারীকে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে আরও ৪০ জন মাদককারবারি আটক হয়।
সেনাবাহিনীর মেজর ইয়াসমিন যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে জানান, রোববার রাত ৩টায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬নং ওয়ার্ড টঙ্গীর কেরানিটেক এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজাসহ বিভিন্ন মাদক, নগদ ২২ লাক্ষ ৮১ হাজার টাকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। এ সময় ৪০ মাদককারবারিকে আটক করা হয়। সেনাবাহিনী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একই অভিযানের অন্য এক ব্রিফিংয়ে ক্যাপ্টেন মাহমুদ জানান, জাভান আবাসিক হোটেল থেকে ১ হাজার ৫৩ বোতল মদ ও শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অংশগ্রহণে হয় এই অভিযান। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে রাতে অভিযান চলাকালে হোটেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মিল্টন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি হোটেলে তিন তলা থেকে লাফিয়ে পালাতে গেলে পাশে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের আপদকালীন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশটি উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক মিল্টনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
লে. কর্নেল মো. তাহসিন তাৎক্ষণিক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, টঙ্গীর আমতলী এলাকায় ‘জাভান’ হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগ ছিল। আজ অভিযান চালিয়ে বিয়ার ও মদ জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পতিতাবৃত্তির অপরাধে নারী-পুরুষ ও হোটেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।