চেক বাউন্স হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তার মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধের দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশটি গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, ২০১৭ সালে আইএফআইসি ব্যাংক ব্যবসার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রথমে ১ কোটি ও পরে আরও দেড় কোটি টাকা মূলধন হিসেবে ঋণ দেয়। এগুলো পরে মেয়াদী ঋণ সুবিধায় পরিবর্তিত হয় যার পুনর্নির্ধারণ হয়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৪২ কোটি টাকা।
আইনি নোটিশে বলা হয়, ২০২৩ সালে আগের মেয়াদী ঋণটি ৯৫ লাখ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি দুটি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার চেক ইস্যু করে। গত ২০ অক্টোবর চেক দুটি বাউন্স করে। কারণ আইএফআইসি কোম্পানিটির অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা ছিল না।
সাকিব আল হাসানকে দেওয়া আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি আর্থিক সুবিধা পুরোপুরি নিয়েছেন। কিন্তু ঋণ অনুমোদনের চিঠিতে উল্লেখ করা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের শর্ত অনুযায়ী বকেয়া সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
‘আপনার বকেয়া পরিশোধে আপনার গুরুতর অনিয়মের কারণে, সুদের কারণে বকেয়া বেড়েছে,’ বলা হয় এতে। নোটিশে আরও বলা হয়, ‘এটা স্পষ্ট যে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে দুটি চেক ইস্যু করেছেন শুধু বকেয়া দায় এড়াতে।’
নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে, পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া চেক ইস্যু করা বিশ্বাসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বকেয়ার বিষয়ে জানতে সাকিব আল হাসানকে ফোন করে এবং মেসেজ দিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মুস্তাফাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংসদ সদস্য পদ হারান সাকিব। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় বাংলাদেশে ছিলেন না তিনি এবং ক্ষোভ ও প্রতিবাদের কারণে দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি।
২০২৩ সালে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের মূল্য হেরফের করার জন্য সাকিবকে গত মাসে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
একই মামলায় সাকিবের ই-কমার্স কোম্পানি মোনার্ক মার্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।