দুই ইনিংসেই বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হারলো বাংলাদেশ। নিজেদের উইকেট ও কন্ডিশনে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। এই হারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে নেমেছে তারা।
ঢাকায় হারের পর প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, চট্টগ্রামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিনটি দিনই চরম হতাশায় পার করেছে শান্তরা। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে সফরকারী ব্যাটাররা দাপট দেখালেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিলেন অসহায়। প্রোটিয়ারা তিন সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান করেছে। অথচ একই উইকেটে বাংলাদেশ খাবি খেয়েছে।
বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৩৮ রানে ৪ উইকেটে হারানোর পরই বোঝা যাচ্ছিল ইনিংস হার চোখ রাঙাচ্ছে দলকে। তৃতীয় দিনে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থায় পড়ে স্বাগতিকরা। দিনের শুরুতেই কাগিসো রাবাদার তোপে শেষ নাজমুল হোসেন শান্ত (৯)। প্রথম ইনিংসে যা একটু লড়াই করেন মুমিনুল। ৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা এই ব্যাটার তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। তাইজুল ৩০ রানে আউট হলেও মুমিনুল থামেন ৮২ রানে। মুমিনুল ফিরলে কার্যত শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ১৫৯ রানে থামার পর ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশকে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও একই পরিণতি। ইনিংস হার এড়ানো তো দূরে থাক, বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে আরও কম রানে আউট হন। প্রথম ইনিংসে তো তবুও মুমিনুল কিছু রান করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে সেটি কেউই পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দলের ইনিংস ১৪৩ রানে থামতেই সফরকারীরা জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়। ভারত সফরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার ঘরের একই পরিণতি দেখলো শান্তরা।
৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং লাইনআপকে তছনছ করে দিয়েছিলেন রাবাদা। দ্বিতীয় ইনিংসে চললো প্রোটিয়াদের ঘূর্ণিজাদু। দুই স্পিনার সেনুরান মুথুস্যামি ও মহারাজ মিলে তুলে নেন ৯ উইকেট। তার মধ্যে মহারাজের শিকার ৫ উইকেট। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান আসে হাসান মাহমুদের ব্যাট থেকে। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে ৩০ বলে ৩৮ রান করেন এই পেসার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে। ২৯ রান আসে অভিষিক্ত উইকেটকিপার ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে।