দীপাবলির বাজার করতে বের হয়েছিলেন। ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন দিল্লির চাঁদনি চকের বাজার। সেই সময়েই ঘটে গেলো বিপত্তি। ফোন চুরি গেলো খোদ ফরাসি রাষ্ট্রদূত থিয়েরি মাতাউরের। ঘটনাটি ২০ অক্টোবরের। চাঁদনি চক মার্কেটের জৈন মন্দির এলাকায় কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত থিয়েরি এবং তার স্ত্রী। তখনই বিপত্তি ঘটে। ভিড়ের মধ্যে ফোন লোপাট হয়ে যায়। দিল্লি পুলিশের কাছে অনলাইনে এফআইআর দায়ের করেন থিয়েরি । অন্যদিকে ২১ অক্টোবর রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে বিষয়টি জানতে পারে দিল্লি প্রশাসন। এর পর হাই প্রোফাইল ব্যক্তির মোবাইল উদ্ধারে জোরকদমে শুরু হয় তদন্ত। রাষ্ট্রদূত তার অভিযোগপত্রে জানিয়েছিলেন, তার মোবাইল ফোনটি জামার পকেটেই রাখা ছিল। চাঁদনি চক মার্কেটের জৈন মন্দিরের সামনে ঘোরার সময়ে সেখান থেকে তা উধাও হয়ে যায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বাজার এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। চার জনকে সেখান থেকেই চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, চার জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। চুরি যাওয়া মোবাইলটিও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের হাতে তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি ফিরিয়ে দেওয়ার পর দিল্লি পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানিয়েছে। আটককৃতরা ট্রান্স-যমুনা এলাকার বাসিন্দা। তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাষ্ট্রদূত থিয়েরি মাতাউরে বলেন, “এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এটি আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা, বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য।”
তিনি আরও বলেন, তিনি এই ঘটনার পরে ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। বিশেষ করে চাঁদনি চক এলাকার মতো জনবহুল স্থানে এই ঘটনার পর, অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন যে, তারা এখনো বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, এই ধরনের ঘটনাগুলি ভারতীয় সংস্কৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।