বাজারে দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় পণ্যটির দাম বাড়ছে। মুরগি, ডিম ও আলুর দামও বাড়তির দিকে। তবে মরিচের দাম ২০০ টাকার নিচে নেমেছে। কমেছে অন্যান্য সবজির দামও।
বিক্রেতারা জানান, মৌসুম শেষে কৃষকের ঘরে এখন পেঁয়াজের মজুত কম। ফলে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। আবার অতিবৃষ্টির কারণে নতুন পেঁয়াজ বপনে দেরি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা বাড়তি। এসব কারণে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কল্যাণপুর নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২৫-১৪০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহ দুই আগে দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১২৫ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা ছিল। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।
বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারের সূত্রে জানা যায় মাত্র এক দিনের ব্যবধানে গতকাল দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি মণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। এর কারণ, কৃষকের ঘরে এখন খাওয়ার পেঁয়াজ একেবারেই কম। যে পেঁয়াজ রয়েছে, তার বেশির ভাগই বেছন বা বীজ পেঁয়াজ।
এছাড়াও গতকাল পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।