সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। ২০১২ সাল থেকে বারবার ভিসা প্রদান এবং ভিসা পরিবর্তনের জটিলতায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা। যেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা অত্যন্ত সহজ ভাবে আমিরাতের ভিসা পায়, সেখানে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, গত দু’মাসের বেশী সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিজিট ভিসা বন্ধ থাকায় দেশটিতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তাছাড়া দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, আউট সাইট রেসিডেন্স ভিসার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। ফলে ভিসা জটিলতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারও ভিসা প্রার্থী।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম চলছে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়া অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে।
তবে আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ভিসা প্রত্যাশীরা বিপাকে পড়েছেন।
কিন্তু এখন ভিসার মেয়াদ শেষে অনেক কর্মী দেশে ফিরে গেছেন। দেশ থেকে নতুন কর্মী আনতে চাইলেও ভিসা বন্ধের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার স্বার্থে এখন পাকিস্তান, ভারত ও নেপালের কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছি। কিন্তু অন্য দেশের কর্মী নিয়ে কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
আজমানে টাইপিং সেন্টারের মোহাম্মদ মানিক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য ভিজিট ভিসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি ফ্যামিলি ভিসা, আউট সাইড রেসিডেন্স ভিসা, স্টুডেন ভিসা, ক্যানসেল ভিসার কার্যক্রমও হচ্ছে না।
এদিকে যেসব বাংলাদেশি পরিবার তাদের সন্তানদের ভিজিট ও ফ্যামিলি ভিসায় আমিরাতে নিয়ে এসে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ভর্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে ভিসা না পাওয়ায় তারাও পড়েছেন বিপাকে। এক কোম্পানি থেকে ক্যানসেল করে অন্য কোম্পানিতে ভিসা লাগাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে হচ্ছে অনেক প্রবাসীকে বাংলাদেশিদের। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশি শ্রমবাজারে বড় ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রবাসীদের নানা অপরাধ প্রবণতা এবং এক শ্রেণীর ভিসা দালালদের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা। ভিসা জটিলতার সাথে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।