Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬৭০০ অভিবাসীর মৃত্যু অজানা

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। তাদের অধিকাংশের মৃত্যুর কারণ অজানা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়। গত ৫ বছরে এমন অজানা মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ অভিবাসীর। জানা যায়, দেশটিতে বেশির ভাগই অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায়। বিচার মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫ জন বিদেশি নাগরিক মারা যান। তাদের মধ্যে মোট ৭ হাজার ৬৯৮ জন, যা প্রায় ৫০ শাতাংশ কোনো না কোনো রোগে মারা গেছেন বলে পরিসংখ্যানে ওঠে আসে।

গাড়ি দুর্ঘটনা ২১১ জন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৭৭ জন, বিভিন্ন কারণে ৬৪৫ জন মারা যান। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ৬ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর কারণই জনেন না সংশ্লিষ্টরা। কোরিয়ান নাগরিকদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক বেশি।

পরিসংখ্যান প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কোরিয়ানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল ক্যান্সার। তারপর হৃদরোগ, করোনা এবং নিউমোনিয়া।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীরাও রয়েছেন। অভিবাসীর এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে। কারণ সরকার কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান শ্রম শূন্যতাকে অন্যান্য দেশের কর্মীদের দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করছে, যা ক্রমাগত কম জন্মহারের অন্যতম কারণ।

এর মধ্যে বিদেশিদের সম্পর্কিত তথ্য বেশির ভাগ কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে এখানে কর্মরত শ্রমিকদের সম্পর্কে তথ্যের পাশাপাশি শিল্প দুর্ঘটনা এবং তাদের পরিসংখ্যান সম্পর্কেও আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত বলেও মনে করেন দেশটির আইন প্রণেতারা।

তাদের মতে, অভিবাসীদের মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের পরিসংখ্যানগত ডেটা প্রয়োজনীয় তথ্য আরও স্পষ্টভাবে পরিচালনা করতে হবে।