Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার ওপর জোর যুক্তরাষ্ট্রের

 

chardike-ad

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখা এবং বাংলাদেশে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে উগ্রবাদের উত্থান হচ্ছে কিনা– এ বিষয়েও উদ্বেগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন সম্পর্ক বিষয়ে ঢাকার মূল্যায়ন কী––সেটাও জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বিভিন্ন সূত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন মনে করে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলে সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ভালো হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন মনে করে, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশ ও বিদেশে সমর্থন রয়েছে। কিন্তু যত বেশি দেরি হবে, এই সমর্থন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ফলে দ্রুত সংস্কার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা প্রকাশ করা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা তাদের রিপোর্ট দেবে। ওই রিপোর্টগুলোর আলোকে সরকারের পরিকল্পনা সবাইকে জানানোর বিষয়ে জোর দিয়েছে তারা।’

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক; পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে হোয়াইট হাউজ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসটিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অন্তত পাঁচটি বৈঠকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে।