ব্যাটিং বিপর্যয়ে একশ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নবম উইকেট জুটিতে তাইজুল-নাঈমের প্রতিরোধে সেই শঙ্কা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
টসে জিতে স্পিন স্বর্গে ভয়াবহ ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দিনের শুরুতেই পরপর তিন ওভারে ভিয়ান মুল্ডারের শিকার হন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর একে একে ফিরেছেন মুশফিক, লিটন ও মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে সবশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনের ২৬.১ ওভারে ৬০ রান করতে ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
লাঞ্চ থেকে ফিরে আসতেই ২ বলের ব্যবধানে মাহমুদুল ও জাকের আলীকে হারায় বাংলাদেশ। ৯৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে ডেন পিটের শিকার হন মাহমুদুল। অন্যদিকে জাকের আলী মহারাজের ফাঁদে পড়ে স্ট্যাম্পড হন। টেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ১৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করে ফিরলেন তিনি। তার বিদায়ে ৭৬ রানেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে ১০০ রানের আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সেখানে প্রতিরোধ গড়েন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। দুজনের ২৬ রানের জুটিতে একশ পার হয় টাইগাররা। দলীয় ১০২ রানে স্লিপে ভিয়ান মুল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ রান করা নাঈম।
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তাইজুল ইসলাম। এতে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান এসেছে তাইজুলের ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মুল্ডার, রাবাদা ও মহারাজ। অন্য উইকেটটি ডেন পিটের।