Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছাত্রদের বিতর্কের মুখে মেহের আফরোজ শাওন

 

chardike-ad

ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামিলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যকে মেরে ফেলা হয়। যার মাঝে ছোট শিশু শেখ রাসেলও জন্ম। আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন নিয়ে আনন্দ কুটুম নামের একজনের একটি লেখা শুক্রবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে ছাত্র জনতার বিতর্কের মুখে পড়েছেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

শাওনের পোস্টটিতে লেখা ছিল, ‘একটি মানুষ, একটি ছবি। যে আর কখনোই বড় হবে না। সময়ের নিষ্ঠুর নিয়মের কাছে তার বয়স বন্দি হয়ে গেছে। ৬০তম জন্মদিনে এসেও সে ছোট্ট বাবুটি হয়ে আছে। কোনো কিশোরী মেয়ে তার প্রেমে পড়েনি, তার জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি লেখেনি। কোন যুবতী মেয়ে তাকে পাবার আসায় ঘর ছাড়েনি। আবার তার রক্ত বীর্যেও কারও সৃষ্টি হয়নি। জন্মের এতোদিন পার হয়ে গেলেও সে শিশুই রয়ে গেছে।

তাকে নিয়ে কখনো যুবক কবিদের কবিতার আসর বসেনি। তাকে ভেবে কোন প্রৌঢ় নারী আফসোস করেনি। কেউ কোনদিন তাকে ‘আপনি’ বলে সম্মোধনও করেনি।

সময়ের নিষ্ঠুর থাবায় সেদিন যে ছেলেটির বয়স বন্দি হয়ে গিয়েছিল সেই পিচ্চি শেখ রাসেলের আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বাবু। তুমি নেই, কিন্তু তুমি আছো।  এই পোস্টে যে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া দিবে সে ‘হাঊন আংকেল’। ’

শেষে শাওন লিখেছেন, ‘[Annando Kutum তোমার এই লেখাটা যতবার পড়ি ততবারই চোখ ভিজে ওঠে।]

মেহের আফরোজ শাওনের আবেগঘন স্ট্যাটাস শেখ রাসেলকে নিয়ে

 

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শাওনের ওই পোস্টে ৪৬ হাজার মানুষ রিয়েক্ট করেছেন। এর মধ্যে ‘হা হা’ রিয়েক্ট করেছেন ২৫ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী।

সম্প্রতি ৭ মার্চসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবসও বাতিল করা হয়েছে। ১৯৬৪ সালের এদিন জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। দিবসটি বাতিলের পরই শেখ রাসেলকে নিয়ে পোস্টটি করেছেন শাওন।

শাওনের এই পোস্টের পর তাসনিমা নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মেহের আফরোজ শাওন শেখ রাসেলকে নিয়ে যে দরদ ভরা রচনা দিলেন, সেটা পড়ে মনে হলো খুব ভালোবাসা নিয়ে পোস্টটা দিয়েছেন। শেখ রাসেল অল্প বয়সে মারা যাওয়ায় সে খুবই হতাশ। জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাদে গুলি খেয়ে মারা যাওয়া ছোট্ট বাবুটার কথাটা কি সে ভাবেনা? বা ৭১ এর যুদ্ধে মারা যাওয়া কোনো শিশু? তাদেরও তো কখনো বয়স বাড়বে না, তারাও জীবনের কিছুই দেখেনি!’

ওই পোস্টের পর তসলিমা নাসরিন ও চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শাওনের তোলা একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাওনের কাজকর্ম দেখে অনেকেই তাকে তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে রিলেট করে অনুমান করা শুরু করেছেন। আপনাদের অনুমান যে শুধুই অনুমান নয়, বরং সত্যি ঘটনা এটা হলো তার প্রমাণ! তিনজন গুণী (!) মানুষকে একসঙ্গে সুন্দর লাগছে! ওইযে একটা কথা আছে না– Birds of same feather flock together! এদেরকে একসঙ্গে দেখে কথাটা মনে পড়ে গেলো আবারও!’

আরেকটি পোস্টে সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ লিখেছেন, বেশকিছু মানুষের সুশীলপনা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে কয়েকদিন যাবৎ, এদের ভেতর কেউ পত্রিকার সম্পাদক, কেউ আইনজীবী, কেউ বা বিনোদন দুনিয়ার কর্মী ইত্যাদি ইত্যাদি।

২০ ঘণ্টায় শাওনের পোস্টে ২৫ হাজারের বেশি ‘হা হা’ রিয়েক্ট থাকলেও ৫০টিরও কম কমেন্ট দেখা গেছে। এসব কমেন্টের একটিও তার বিরুদ্ধে যায়নি। এ নিয়ে মোস্তফা আহমদ নামের একজন লিখেছেন, তসলিমা নাসরিন তাও সমালোচনা সহ্য করতে পারে, পোস্ট করলে কমেন্ট বক্স ওপেন রাখে। দেশের ভিতরে শাওন সমালোচনাও নিতে পারে না, কমেন্ট বক্স বন্ধ করে পোস্ট করে ঘেউ ঘেউ করে!

এদিকে শাওনের ওই পোস্টের নিচে করা একটি কমেন্ট ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে। ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে শাওনের পোস্টে সেই কমেন্টটি এই প্রতিবেদন তৈরির সময় (শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা) আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গোলাম সারওয়ার অনিক নামের একজন মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছাদে হেলিকপ্টারে গুলি খাওয়া রিয়ার ব্যাপারেও আপনার এমন পোস্ট চাই।’

এ মন্তব্যের জবাবে শাওন লিখেছিলেন, ‘আপনার চাওয়া পূরণ করার দায়িত্ব নিয়ে আমি বসি নাই। আপনি অপরিচিত হয়ে অন্য একজনের পোস্টে এসে পকর পকর করা বন্ধ করেন। ধন্যবাদ।’