সাহিত্যে নোবেলজয়ের পর গত এক সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং এর বিভিন্ন বই বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার কপি। দেশটির বইয়ের দোকান ও প্রকাশনা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। ৫৩ বছর বয়সী হান কাং প্রথম এশীয় নারী লেখক হিসেবে গত ১০ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন।
ছোটো গল্পকার ও ঔপন্যাসিক হান কাং তার নিজ দেশে জনপ্রিয় লেখক। নিজের লেখা বেস্ট সেলার উপন্যাস ‘নিরামিষাশী’ বা ‘দ্য ভেজিটেরিয়্যান’-এর জন্য নোবেল পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে হানকে সাহিত্যের দ্বিতীয় বৈশ্বিক মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ম্যান বুকারও এনে দিয়েছিল এ উপন্যাসটি। ‘দ্য ভেজিটেরিয়্যান’ হানের প্রথম উপন্যাস, যেটি ইংরেজিসহ ৩০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় বই প্রকাশক এবং বিভিন্ন বুকস্টোরের মালিকরা জানিয়েছেন, হানের নোবেল পুরস্কার জয়ের খবর দক্ষিণ কোরিয়ার রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ তার বই কিনতে দোকানে ছুটছেন, পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডার আছে এক লাখের কাছাকাছি।
গত বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ইবুকসহ হানের বইগুলো ১০ লাখ ছয় হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তিন বই বিক্রেতা কিয়োবো, আলাদিন ও ইয়েস২৪।
অনলাইন বইয়ের দোকান আলাদিনের তথ্য অনুসারে, নোবেল জয়ের পর গত বছরের তুলনায় হানের বইয়ের বিক্রি ১,২০০ শতাংশ বেড়েছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য দক্ষিণ কোরীয় লেখকদের বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে।
‘সার্বিকভাবে, হান হাং নোবেল জেতার পর গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কোরীয় সাহিত্যের বইগুলোর বিক্রি ১২ গুণ বেড়েছে’, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আলাদিন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করছে ছাপাখানাগুলো । কয়েকটি ছাপাখানায় ছুটির দিনগুলোতেও বই ছাপানোর কাজ চলছে।
আলাদিনের এক কর্মী এএফপিকে বলেন, ‘আমি ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর কখনোই এখনের মতো এত ব্যস্ত সময় কাটাইনি।’
“কিন্তু কাজের চাপ থাকলেও আমরা সবাই খুশি।”