পরিস্থিতি নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বিশেষ করে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে। মাঝারি মানের চালের কেজি ৭০ টাকা। ফার্মের ডিমের হালি ৪৩–৫০, চাষের পাঙাশ ২৪০–২৮০, রুই ৩৫০, কুচো চিংড়ি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু আয় এক পয়সাও বাড়েনি। ধারদেনা কিংবা সঞ্চয় ভেঙেও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো টানাপোড়েন ঘোচাতে পারছে না। এর মধ্যে ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মাসখানেক ধরে সব নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ছাড়াও সবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির বাজার সীমাহীন চড়েছে।
দুদিন আগের ৮০ টাকার করলা-পটোল ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০, ১০ টাকা আঁটির কলমি শাক ১৪ থেকে ২০, ৪০ টাকা কেজির পুঁইশাক ও পেঁপে ৫০, বড় বেগুন ২২০, ছোট লম্বা বেগুন ১২০ টাকা। দুই দিন আগেও তা ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ১৩০ টাকার বরবটি ১৬০, ৫০ টাকার কচুমুখী ৬০, ৭০ টাকার বাঁধাকপি ৮০, মাঝারি আকারের লাউ ৯০ থেকে ১২০, ১৪০ টাকার পালংশাক ১৬০, ৭০ টাকার চিচিঙ্গা ৮০, ৮৫ টাকার কাঁকরোল ১০০, ৫০ টাকা কেজির মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা হয়েছে। ২৫০ গ্রামের লাল শাকের আঁটি ৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সবজির দাম চড়া হওয়ায় এখন ক্রেতারা কিনছেনও কম। আগে যিনি এক কেজি কিনতেন, এখন তিনি ২৫০ গ্রাম কিংবা আধা কেজি কিনছেন। অনেকেই আবার দাম শুনে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন।