শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ভৌত অবকাঠামোর কাজ প্রায় ৯৯ ভাগ শেষ। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে চায় বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ কাদের দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। এ ব্যাপারে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছে বেবিচক। এ ছাড়া জনবল নিয়োগ আর তাদের প্রশিক্ষণও বাকি রয়েছে।
২০২৫ সালের জুন-জুলাইয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার কথা, শাহজালাল বিমানবন্দরের দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালটি। প্রকল্পটির অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ ভাগ। শতভাগ শেষ হবে অক্টোবরেই। তবে অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য অনেক কিছু এখনও বাকি। সে সব কাজ, এ বছরের মধ্যে শেষ হতে পারে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইয়া বলেন, যে ১ শতাংশ কাজ এখন বাকি আছে তা শেষ করতে একটু সময় লাগবে। কারণ এর সঙ্গে সমস্ত মেশিনারির ইন্টারফেস, ইন্টিগ্রেশন আছে। সেই সঙ্গে বাইরের কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই কাজগুলো একটু পিছিয়ে গেছে। কারণ দেশে মাঝের একটা সময়ে ডলার ক্রাইসিস ছিল। এ ছাড়া আন্দোলনের সময়ও কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিষয়ে জাইকাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে বেবিচক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে হবে, তা নিশ্চিত করেনি সংস্থাটি। এদিকে জনবল নিয়োগ, প্রশিক্ষণ আর মহড়ার কাজেও লাগবে কয়েক মাস। এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইয়া আরও বলেন, সব ধরনের কাজ শেষে আশা করা যায়, আগামী বছরের জুন-জুলাই মাসে পূর্ণাঙ্গভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু করা যাবে।
এই টার্মিনাল ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে প্রায় ৬ হাজার জনবল প্রয়োজন। এর মধ্যে শুধু নিরাপত্তার জন্যই লাগবে প্রায় ৪ হাজার।