স্টাফ রিপোর্টার।
লিপস্টিক মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ ৷ সিক্ত ঠোঁটে কখনও গাঢ় রং, আবার কখনও হালকা রং নারীকে করে তোলে মোহময়ী ৷ কবির ভাষায় যদি বলি, হাসি মানেই তো হলো রাঙা ঠোঁট। গ্রামীণ বধূর লাল টুকটুকে ঠোঁটের বর্ণনা পাওয়া যায় অনেক কবিতায়-গানে-গল্পে। আগের সময়ে কখনো পান খেয়ে, কখনো ফুলের রঙিন নির্যাসে ঠোঁট রাঙানো ছিল সাজের অংশ।
তবে এখন লিপস্টিক নিতে গেলে একটা সমস্যা হয় ৷ সেটা হল সচরাচর অনেকেই লিপস্টিকের ধরন সম্পর্কে সচেতন থাকেন না ৷ অর্থাৎ গ্লস লিপস্টিক, ক্রিম লিপস্টিক, ফ্রস্টেড লিপস্টিক, শিয়র লিপস্টিক-এর ধরন কী বা কোন ধরনের কী নাম সেটাই কম-বেশি অনেকেই জানেন না ৷ তাই ঠোঁটের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিক সম্পর্কে জেনে থাকা ভালো
ম্যাট লিপস্টিক
এই নামের লিপস্টিকের সঙ্গে নারীরা প্রায় সকলেই পরিচিত ৷ মূলত এই লিপস্টিকে ওয়াক্স থাকে বেশি ৷ যে কারণে এই লিপস্টিকের তৈলাক্ত ভাব বা শাইন কম। তবে একবার ঠোঁটে লাগালে এই লিপস্টিক অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে ৷ ঠোঁটের গঠনও স্পষ্ট থাকে। তবে যাঁদের ঘনঘন ঠোঁট ফাটার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চললেই ভাল৷
ক্রিম লিপস্টিক
এতে ওয়াক্স ও অয়েল প্রায় সমান সমান থাকে। ফলে যাঁদের ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন ৷
শিয়ার লিপস্টিক
এই লিপস্টিক একটু হালকা ধরণের হয় ৷ অর্থাৎ রং উজ্জ্বল হলেও ঠোঁটে তা সিক্তভাব বজায় রাখবে ৷ এই লিপস্টিক খুব বেশিক্ষণ ঠোঁটে থাকে না ৷ তাই বারবার ব্যবহার করতে হয়।
গ্লসি লিপস্টিক
ঠোঁটকে আবেদনময়ী করে তুলতে এই লিপস্টিকের জুড়ি মেলা ভার ৷ তবে এই লিপস্টিক একটু ভারী ধরণের হয় ৷ ফলে সারাদিনের জন্য এই লিপস্টিক না বাছাই ভালো ৷
ময়েশ্চরাইজিং লিপস্টিক
ঠোঁটকে সতেজ রাখতে ময়েশ্চরাইজার সবসময়ই দরকার ৷ সেই গুণ যদি লিপস্টিকে থাকে, তাহলে ঠোঁটের ক্ষতি কম হয় ৷ গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন-ই দিয়ে সাধারণত ময়েশ্চরাইজিং লিপস্টিক তৈরি হয় ৷ সবরকম শেডেই এই লিপস্টিক পাওয়া যায় ৷
ফ্রস্টি লিপস্টিক
এই লিপস্টিক একটু চকচকে ধরণের ৷ লিপস্টিকের সঙ্গে ঠোঁটে একটা আভা তৈরি করে ৷ যা আলো পড়লে চকচক করে ৷ তবে এই লিপস্টিক খুব তাড়াতাড়ি ঠোঁট শুষ্ক করে দেয় ৷