Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের ফ্যাশন সচেতনতা

মোত্তাকিন মুন। ফাস্ট ফ্যাশন হচ্ছে একটি বিশাল ও দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প, যেখানে প্রতি বছর তৈরি নতুন পোশাক ও বিউটি প্রোডাক্টের সংখ্যা গত ২০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পোশাক তৈরির প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে বর্জ্য তৈরি হয় যা বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করে, জমির ক্ষতি হয় এবং মাটি ও পানিকে দূষিত করে। দ্রুত বর্ধনশীল এই ফ্যাশন শিল্প জলবায়ু সংকটের অন্যতম কারণ।  বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের ১০ শতাংশ এর জন্য দায়ী। ফলে এই শিল্প নিয়ে তরুণরা বেশ উদ্বিগ্ন। অনেকেই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পরিবেশকে বাঁচাতে বেশ তৎপর। পরিবেশকে বাঁচাতে তাই টেকসই ও ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশন অনুশীলনের দিকে ঝুঁকছে তরুণরা।

chardike-ad

ফ্যাশনে টেকসই উপকরণের ব্যবহার
ফ্যাশনের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোড় মধ্যে একটি হচ্ছে টেকসই উপকরণ নির্বাচন করা। ক্ষতিকারক কীটনাশক ছাড়া জন্মানো জৈব তুলা পরিবেশবান্ধব উপকরন হতে পারে। শণ, বাঁশ, পাটের মতো উপকরণ বেছে নিতে পারেন ফ্যাশন অনুষঙ্গ ও পোশাকের জন্য।

পুনর্ব্যবহৃত উপকরণগুলোও টেকসই বা সাসটেইনেবল ফ্যাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে তৈরি কাপড় যেমন পলিয়েস্টার এবং নাইলন, বর্জ্য কমাতে সাহায্য করে। এই টেকসই উপকরণ থেকে তৈরি পোশাক বেছে নিলে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

নৈতিক ব্র্যান্ডগুলোকে সমর্থন করুন
ফ্যাশন শিল্পে স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতা পরিবেশগত স্থায়িত্বের জন্য অপরিহার্য। ন্যায্য শ্রম অনুশীলন, মানবিক কাজের পরিবেশ এবং পরিবেশগত দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেয় এমন ব্র্যান্ড বেছে নিন।

মিনিমালিজম এবং মননশীল খরচ অনুশীলন
আমরা অনেকেই এক পোশাক একবারের বেশি পরতে চাই না। প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি এই অভ্যাস। অতিরিক্ত খরচ এবং অপচয় এড়াতে এক পোশাক অনেকবার ব্যবহার করুন। কেনার আগে পোশাক বা ফ্যাশন অনুষঙ্গওটি সত্যিই প্রয়োজন কিনা তা বিবেচনা করুন।

মেরামত, পুনরায় ব্যবহার, এবং আপসাইকেল
মেরামত এবং পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে পোশাকের আয়ু বাড়ানো বর্জ্য কমানোর একটি শক্তিশালী উপায়। সেলাইয়ের বোতাম, মেন্ডিং টিয়ার এবং হেমিং এর মতো সহজ মেরামত পোশাকগুলোকে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী রাখে।

আপসাইক্লিং বা সৃজনশীলভাবে পুরানো জামাকাপড়কে নতুন আইটেমে রূপান্তর করা আরেকটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি। যেমন একটি পুরানো পোশাক দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্কার্ট। আবার ছিঁড়ে যাওয়া জিন্স দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চমৎকার একটি ব্যাগ। এই অভ্যাসটি শুধুমাত্র অপচয় কমায় না, বরং ফ্যাশনে সৃজনশীলতাও নিয়ে আসে।

ডিক্লাটার বা অদলবদল হতে পারে চমৎকার বিকল্প 
অন্যের জন্য যেটা অপ্রয়োজনীয়, সেটা হতে পারে আপনার জন্য প্রয়োজনীয়। অনেকেই নানা কারণে পোশাক বা ফ্যাশন অনুষঙ্গ ডিক্লাটার করে দেন। পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে ডিক্লাটারের পোশাক কিনে নিন। বন্ধু বা পরিচিতদের মধ্যে পোশাক অদলবদল করা নতুন আইটেম না কিনেও ওয়ারড্রোব রিফ্রেশ করার চমৎকার উপায়।