স্টাফ রিপোর্টার।
দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরা আল মাকতুম সম্প্রতি তাঁর বিউটি ব্র্যান্ড ‘মাহরা এম১’ থেকে একটি পারফিউম বাজারে এনে হইচই ফেলে দিয়েছেন। পারফিউমটির নাম ‘ডিভোর্স’। দুবাই রাজকন্যা মাহরার আলোচিত বিচ্ছেদের কয়েক দিনের ভেতরেই বাজারে এল এই সুগন্ধি।
২০২৩ সালের জুন মাসে মাহরা বিয়ে করেন শেখ মানা আল মাকতুমকে। রাজকীয় এই বিয়ে হইচই ফেলে দেয় বিশ্বের ফ্যাশন অঙ্গনে। ভোগ, এলে, কসমোপলিটান, হারপার’স বাজারসহ বিশ্বখ্যাত সব ম্যাগাজিনে উঠে আসে জাঁকজমকপূর্ণ এই বিয়ের খবর।
২০২৪ সালের মে মাসে মা হন মাহরা। এর মাস দুয়েক পরেই আসে বিচ্ছেদের খবর। কিছুদিন আগেই আচমকা এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে মাহরা তাঁর সাবেক জীবনসঙ্গীকে বিচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন। ২০২৩ সালে হাই প্রোফাইল এই বিয়ে যেমন আলোচনায় ছিল, বিচ্ছেদ আরও বেশি করে আলোচনায় রয়েছে।
৩০ বছর বয়সী এই রাজকন্যা ওই পোস্টে তাঁর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া ও প্রতারণার অভিযোগ আনেন। এক পোস্টে তিনি শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে লেখেন ‘প্রিয় স্বামী, ওহ্, দুঃখিত, প্রাক্তন স্বামী।’ এরপরের পোস্টে মাহরা আরও লেখেন, ‘যেহেতু তুমি অন্য নারীদের সঙ্গ উপভোগ করছো, আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম। আমি বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলাম। বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলাম। বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলাম। ভালো থেকো। ইতি, তোমার প্রাক্তন স্ত্রী।’
সেই সময়ে মাহরা তাঁর ইনস্টাগ্রাম থেকে স্বামীর সঙ্গে দেওয়া সব পোস্ট মুছে ফেলেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ যে পাঁচটি পোস্ট রয়েছে, তার সবই সুগন্ধি ‘ডিভোর্স’–এর প্রচারণামূলক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে সুগন্ধিটির দেখা মেলে। কালো রঙের বোতলে বাজারজাত করা হয়েছে সেটি। এর ওপর ব্ল্যাক প্যানথারের থিমে একটি লোগো। সাদা রঙে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ‘ভিভোর্স’, মানে বিচ্ছেদ।
মাহরার ‘ডিভোর্স’ সুগন্ধির পোস্টের নিচে অনেককে এটা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। একজন লিখেছেন, ‘ভাঙা হৃদয়ের হারাকারকে তিনি ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছেন। এই না হলে রাজকুমারী! পরকীয়ার শোধ নিচ্ছেন ব্যবসার প্রসার করে।’
মাহরার ইনস্টাগ্রামের পোস্টের পর থেকে তার পার্ফিউম ব্র্যান্ড “ডিভোর্স” সারাবিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। মোহাম্মদ বিন রশিদের ২২ সন্তানের ভেতর (সন্তানের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে) অন্যতম মাহরা। মাহরার মা জো গ্রিগোরাকোস গ্রিসের নাগরিক।