Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মেসি জোড়া গোলে মায়ামিকে শিরোপা জেতালেন
মেসি জোড়া গোলে মায়ামিকে শিরোপা জেতালেন

খেলা ডেস্ক। লিওনেল মেসির হাতে উঠলো আরও একটি শিরোপা। লোয়ার ডটকম ফিল্ডে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘সাপোর্টারস শিল্ড’ জিতেছে ইন্টার মায়ামি। যথারীতি এই শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেসিরই, করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি করেছেন লুইস সুয়ারেজ। মায়ামি গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারকেও ভুলে গেলে চলবে না। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি ঠেকিয়ে লিড ধরে রাখেন তিনি।

৩২ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট পেয়ে ‘সাপোর্টারস শিল্ড’ ট্রফি জিতেছে মেসির দল। ২০২০ সালে এমএলএসে পা রাখার পর এই টুর্নামেন্টে এটিই তাদের প্রথম ট্রফি। ১৬টি ভিন্ন দল এখনো পর্যন্ত জিতেছে এই ট্রফি। সবচেয়ে বেশি চারবার করে জিতেছে এলএ গ্যালাক্সি ও ডিসি ইউনাইটেড।

chardike-ad
মেসি জোড়া গোলে মায়ামিকে শিরোপা জেতালেন
মেসি জোড়া গোলে মায়ামিকে শিরোপা জেতালেন

এমএলসে ‘সাপোর্টারস শিল্ড’ দুটি মূল ট্রফির একটি। অন্যটি হলো এমএলএস কাপ। মৌসুমের ৩৪ ম্যাচজুড়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করা দল পায় ‘সাপোর্টারস শিল্ড’। লিগে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি। এই দুই ম্যাচে জয় পেলে এক মৌসুমে এমএলএসে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড গড়বে মায়ামি।

বর্তমানে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষ দল মায়ামির পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬৮, ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষ দল এলএ গ্যালাক্সির পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬১। তার মানে, মায়ামির নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচ হারলে ও এলএ গ্যালাক্সি শেষ দুটি ম্যাচ জিতলেও মেসি–সুয়ারেজদের ছুঁতে পারবে না।

চলতি মৌসুমে মায়ামির ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মূল কারণ মেসি–সুয়ারেজ জুটি। লিগে মায়ামির মোট ৭২টি গোলের ৩৫টিই এসেছে দুজনের কাছ থেকে। চোটের কারণে মায়ামির হয়ে অনেক ম্যাচ মিস করলেও লিগে মেসির গোল এখন ১৭টি, গোলে সহায়তা করেছেন আরও ১৫টিতে। সুয়ারেজের গোল ১৮টি। ‘সাপোর্টারস শিল্ড’ মেসির ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আজ প্রথমার্ধেই দুটি গোল করেন মেসি। যার প্রথমটি এসেছে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে। অনেকটা নিজেদের অর্ধ থেকে জর্দি আলবার উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে থামান মেসি। এরপর প্রতিপক্ষ দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। পরের গোলটিও এসেছে খানিকসময় পরই। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্রি কিকে থেকে গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া কলম্বাস দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ২০ সেকেন্ড পরই একটি গোল শোধ করে। তবে ৪৮ মিনিটে গোল করেও দলকে আরও এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আবার কমায় কলম্বাস। ৬৩ মিনিটে তাদের ডিফেন্ডার রুডি কামাচো লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ৮৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় কলম্বাস। তবে ক্যালেন্ডারের বীরত্বে সমতায় ফেরা হয়নি।