Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
kim
ফাইল ছবি

নিষ্ঠুর আইন-কানুনের জন্য মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোরামে উঠে আসে কিম জন উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। এবার ভয়াবহতা ছাপিয়ে গেল সব কিছুকে। বিদেশি নাটক দেখার ‘অপরাধে’ প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হল ৩০ জন কিশোরকে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব।

দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়ম কানুনের ব্যাপক কড়াকড়ির জেরে বহির্বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া। তবে নিয়মের ফাঁক গলে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মাঝে মধ্যেই উত্তর কোরিয়াতে পাচার হয় নানা ধরনের বিদেশি ভিডিও। তেমনই বিদেশি নাটকের ভিডিও দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিল ওই ৩০ জন কিশোর। একনায়ক কিমের বিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেয়া হয় ৩০ জনকে। এর পরই প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের।

chardike-ad

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা এই নৃশংসতার কথা তুলে ধরে জানান, ”উত্তর কোরিয়াতে এমন ৩টি আইন রয়েছে যাকে ‘কালো আইন’ হিসেবে দেখা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল উত্তর কোরিয়ার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে নিয়মের বেড়াজাল। কোনওভাবে নিয়ম ভাঙলে ভয়ংকর শাস্তি দেওয়া হয় ‘অপরাধীকে’।

ওই কর্মকর্তা জানান, নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যে বহির্বিশ্বের কণামাত্র ছোঁয়া যাতে না লাগে তার জন্য তার জন্য সতর্ক কিম দক্ষিণ কোরিয়া-সহ যে কোনও বিদেশি কনটেন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করার অপরাধেই প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল ওই ৩০ কিশোরকে।

উল্লেখ্য, পোশাক থেকে শুরু করে চুলের ছাঁট সব কিছুতেই অদ্ভুত সব নিয়ম কানুনের জন্য প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ম কিম জন উন। গত বছর দেশের তরুণদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশিকা জারি করেছেন ‘শ্রদ্ধেয় বাবা’ বলে ডাকতে হবে তাকে। বিদ্ঘুটে সব আইন-কানুনে বিন্দুমাত্র নড়চড় হলেই সেখানে জনগণের উপর নেমে আসে শাস্তির খড়গ। সেই শাস্তি যে কত ভয়াবহ হতে পারে ফের সেটাই দেখাল একনায়ক কিম।