Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
সুন্দরবন
ফাইল ছবি।

অবশেষে দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে সুন্দরবনের পূর্ব চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া অঞ্চলের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট, বন বিভাগ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, গ্রাম পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আসে ২ কিলোমিটার ব্যাপ্তির এই আগুন।

রবিবার সকাল আটটার পর থেকেই শুরু হয় সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। ফায়ার সার্ভিস, বনকর্মী এবং স্থানীয়দের পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণে যোগ দেয় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গ্রাম পুলিশ। এরই মধ্যে বিমানবাহিনী হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়।

chardike-ad

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, সুন্দরবনের আমরবুনিয়া জঙ্গলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আগুন আর ছড়ায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বন বিভাগের ২ শতাধিক বনকর্মীসহ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এছাড়াও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও আগুন নির্বাপণে অংশ নেয়।

প্রাথমিকভাবে বনের ৫/৬ একর বনভূমির লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে সিএফ জানিয়েছেন। আজ দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. আবুল হাসনাত খান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বন পরিদর্শন করেন।

সার্বিক বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও এতে বনের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল (৪ মে) বিকেল ৩টা ৪০ এর দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে বালতি ও কলসি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।