মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেতু নির্মাণের দুই বছর পরেও তৈরি হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। ফলে কোনো কাজেই আসছে না ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্প। দুই পাশের কৃষিজমির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর দিয়ে প্রবাহিত কালীগঙ্গা নদীর উপর ‘গ্রামীণ সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু (সিআইবিআরআর)’ প্রকল্পের আওতায় ৩৪ কোটি টাকার উপরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। দুই পাড়ে ৬৩০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে প্রায় ৫ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল।

chardike-ad

তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই নদীতে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে দুই পাড়ের অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষকে।

যদিও জমি ও স্থাপনা মালিকেরা বলছেন, প্রায় দুই বছর ধরে ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার ধর্না দিয়েও কাজ হচ্ছে না। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও জেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুতই এই জটিলতা শেষ করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর দিয়ে প্রবাহিত কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ।

দরপত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, ওই সময়ের মধ্যেও শেষ হয়নি।

সেতু নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ভূমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় জমি ছাড়ছেন না। আর এলজিইডি বিভাগ জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। কাজ শুরুর পূর্বেই বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এমন জটিলতায় বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অধিগ্রহণ হয়ে গেলে ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।