নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও আলাদা করা যায়নি দুই দলকে। প্রথম লেগ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। এবার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হলো ১-১ সমতায়। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি বা রিয়াল মাদ্রিদ কোনো দলই আর কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। ফলে, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শ্যুট-আউটের মাধ্যমে।
রিয়াল মাদ্রিদের ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনের অসাধারণ নৈপুণ্যে ৩-৪ ব্যবধানে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে জয়লাভ করে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর আগে ইতিহাদে রিয়াল মাদ্রিদ নেমেছিল তাঁদের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে। সে লক্ষ্যে শুরুতে এগিয়েও যায় কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ম্যাচের ১২তম মিনিটে রদ্রিগো বল জালে জড়ান। এরপরে পুরো ম্যাচই রিয়াল মাদ্রিদ খেলে রক্ষণশীল মেজাজে।
অন্য দিকে ম্যানচেস্টার সিটি একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও কখনো লুনিন, কখনো রুদিগার বা কখনো কামাভিঙ্গার কাছে আটকে যেতে হচ্ছিলো তাদের। প্রথমার্ধে হাল্যান্ডের হেড থেকে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
ম্যাচের মোড় ঘুরে সিটি কোচ গার্দিওলার গ্রিলিশের জায়গায় ডকুকে মাঠে নামানোর পর। ৭৫ মিনিটে ডকুর নেয়া শট রুদিগার ঠেকিয়ে দিলেও তা চলে যায় কেভিন ডি ব্রুইনার সামনে। জোরালো শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি কেভিন ডি ব্রুইনা।
এই জয়ের মধ্যে দিয়ে আরো একবার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে পৌঁছাল রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ইউরোপিয়ান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। ১লা মে এলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে মুখোমুখি হবে দুই দল। ফিরতি লেগ ৮ই মে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।