Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।

দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফাইল ছবি।

 

chardike-ad

 

 

 

 

 

দেশের আকাশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলশ্রুতিতে আগামী বৃহস্পতিবার(১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে।

আজ (৯ এপ্রিল) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে দেশের সব জেলার প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের আকাশে কোথাও আজ মঙ্গলবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া যায়নি। তাই আজ পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে এবং আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা শুরু হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদ উদযাপন করেন সারাবিশ্বের মুসলিমরা। এর আগে সৌদি আরবে গতকাল পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামীকাল (১০ এপ্রিল) দেশটিতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে। শুধু সৌদি আরব নয়, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র সহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের চাঁদপুর সহ কিছু কিছু জেলায় আগামীকাল ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে।

ঈদের জামাত

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থান এবং মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারে ঢাকার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে আটটায়। এরই মধ্যে নামাজ আদায়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন – ডিএসসিসি। জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি নিয়ে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের গণমাধ্যমকে জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের মূল প্যান্ডেলে এই বছর ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এছাড়াও অনেক মুসল্লি প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।

জাতীয় ঈদগাহে এবারের ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এই বছর ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান। মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মুহাম্মদ আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খাদেম মোঃ আবদুল হাদী।

চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মুহাম্মদ আবু ছালেহ পাটোয়ারি। মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন বাইতুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মোঃ জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম এবং সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুক্বাবির হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমের খাদেম মোঃ রুহুল আমিন।