প্রবাসী আয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রবাসী আয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তালিকাটি পাওয়া যায়।
প্রবাসী আয়ে শীর্ষ দেশ ভারত। দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শ্রমবাজারের চাঙা ভাব, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে প্রবাসী আয়প্রবাহ আরো বাড়তে পারে। তবে সৌদি আরব ও কুয়েতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রীতিমতো ধস নামার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানা যায়।
দেশভিত্তিতে প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে মেক্সিকো, এ দেশের প্রবাসী আয়ের পরিমাণ মোট ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ৫ হাজার কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চীন। চতুর্থ স্থানে আছে ফিলিপাইনস, তাদের প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি ডলার।
মিসর ও পাকিস্তান এই তালিকায় রয়েছে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে এবং এই দুই দেশের প্রবাসী আয়ের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এরপর সপ্তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা ও উজবেকিস্তান যথাক্রমে ২ হাজার ১০০ কোটি, ২ হাজার কোটি ও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ (২২ বিলিয়ন ডলার) প্রবৃদ্ধি হয়। এছাড়া ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে নেতিবাচক ধারা থাকলেও ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৭ শতাংশ।
২০২০ সালে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর ২০২১ সালে ভারতের রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ বিলিয়ন ডলার হয়, অন্যদিকে পাকিস্তানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি প্রবাস থেকে আসা এই প্রবাসী আয়।
২০২০ সালে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর ২০২১ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। মূলত সরকারি প্রণোদনা এবং দেশে পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানোর কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা যায়।