Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সারা বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ইতোমধ্যে সবচেয়ে কম, চিন্তার বিষয় হচ্ছে সেটা ক্রমেই আরো কমে যাচ্ছে। জাতিগত বিলুপ্তির আশঙ্কায় থাকা দেশটির এত নিম্ন জন্মহারের জন্য তার কাজের সংস্কৃতি ও লৈঙ্গিক সম্পর্ককে দায়ী করা হচ্ছে।

তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় জন্মহার আরো ৮ শতাংশ কমে গেছে এ বছর। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এভাবে চলতে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ ৫ কোটির একটু বেশি জনসংখ্যার দেশটির জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে।

chardike-ad

জন্মহার হ্রাস ঠেকাতে কোরিয়ান সরকার বিলিয়ন ডলার খরচ করেও খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু করতে পারছে না।

তথ্য বলছে ২০২২ সালে একজন কোরিয়ান মহিলার বাচ্চা জন্মদানের সম্ভাবনা ০.৭৮ থেকে ০.৭২ এ নেমে গেছে। এবছরের শেষ নাগাদ এটা আরো নেমে ০.৬৮ অব্দি চলে আসতে পারে। অথচ একটা দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখতে জন্মহারের এই মাত্রা ন্যূনতম ২.১ হতে হয়। সবচেয়ে বেশি জন্মহারের মাত্রা কমেছে রাজধানী সিওলে। সিওলে বর্তমানে এই মাত্রা ০.৫৫।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে এই অব্দি চাইল্ডকেয়ার খাতে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এমনকি একটি বাচ্চা জন্মদানের জন্য পিতা-মাতাকে ১৫১০ ডলার করে দেয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে জন্মহার নিম্নমুখী হওয়ার পিছে চাকরির চ্যালেঞ্জ, আবাসন ও চাইল্ডকেয়ার অন্যতম দায়ী উপাদান। তবে অনেক কোরিয়ান নারীই দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের সংস্কৃতি ও মাত্রাতিরিক্ত চাপের কারণেই সন্তান জন্মদানকে ঝুঁকির মনে করছেন।