জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী “চাইম” ব্যান্ডের লিড ভোকাল খালিদ আর নেই(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।
স্বজন ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এই সঙ্গীতশিল্পী তাঁর নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে স্বজনরা শিল্পীকে রাজধানীর পান্থপথের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ; নিয়েছেন একাধিকবার চিকিৎসাও। তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিলো।
সঙ্গীতশিল্পী খালিদের মরদেহ কমফোর্ট হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ রাত সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা এই গায়ক ১৯৮১ সালে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৩ সালে “চাইম” ব্যান্ডে ভোকাল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সঙ্গীত ক্যারিয়ারে তুলনামূলক কম গান গাইলেও তাঁর গাওয়া প্রতিটি গানই তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁকে বলা হতো নব্বই এবং তাঁর পরবর্তী দশকের “মিক্স মাস্টার”।
“সরলতার প্রতিমা”, “যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে”, “যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে”, “কোনো কারণেই ফেরানো গেলো না তাঁকে”, “আবার দেখা হবে”, “হয়নি যাবারও বেলা”, “তুমি নেই তাই” সহ একাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। আশি এবং নব্বইয়ের দশকে তাঁর কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো আজও হৃদয় ছুঁয়ে যায় সকল শ্রোতাদের। পাড়া মহল্লায় এমনকি বিপণিবিতানেও তাঁর গাওয়া গানগুলো বাজতো প্রতিনিয়ত।
বহুদিন তিনি ছিলেন সঙ্গীত জগত থেকে আড়ালে। তাঁর পরিবার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁর একমাত্র ছেলে জুয়াইফা আরিক একটি স্কুলে পড়ছেন। মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে আসা হতো তাঁর। কিন্তু এবার আর ফেরা হলোনা পরিবারের কাছে।