ইফতার করবে বড় ভাই মুশফিকুর রহিম। তাড়া তো থাকবেই। চার ছক্কা হাকিয়ে মাগরিবের আগেই বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়ে মুশফিককে ইফতারের সুযোগ করে দিলো রিশাদ হোসেন। প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ওয়ানডে সিরিজ জিতলো টাইগাররা। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তখন টাইমড আউটের সেলিব্রেশন করে বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিল লঙ্কানরা। তবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলে টাইগাররা দেখিয়ে দিলো কি করে জবাব দিতে হয় স্লেজিংয়ের। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এদিনে সবচেয়ে বড় পাওয়া অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ, জাকের আলির ইনজুরি, তানজিদের ব্যাটিং সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এখন রিশাদ। তিনি যা খেললেন, এক কথায় রীতিমতো অসাধারণ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেইল এন্ডে এসে এমন আগ্রাসী টি-টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিং বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো কেউ করে দেখাতে পারেনি। বিশ্বের নামকরা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে একেবারে পাড়ার বোলার বানিয়ে পেটালেন। ১ ওভারে নিলেন ২৪ রান। ক্যাপ্টেন শান্ত জিতলেন প্রথম ওয়ানডে সিরিজ।
দিনের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশ চাপেই ছিল তারা। শ্রীলঙ্কার পুরো ইনিংসে লিয়ানাগের ১০১ রানের ইনিংসই ছিল দেখার মতো, যার উপর ভর করে শ্রীলঙ্কা পায় ২৩৫ রানের সংগ্রহ। এদিনে বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন লাভ করেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
প্রতিবারের মতো টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় এদিনে তানজিদ তামিম একাই ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, খেলেছেন ৮৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস। কিন্ত তার আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যখন জয় পরাজয়ের সমীকরণের সামনে ঠিক তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হলেন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। তার ১৮ বলে ৪৮ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পৌছে যায় জয়ের বন্দরে।