আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ৯ বছর পার করে ফেললেও, লিটন কুমার দাস ২২ গজে এখনো পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেনি। নয়তো কেনই বা তাকে বারবার রান না করেই ফিরে যেতে হবে। ক্লাসিক্যাল লিটনের সেই দুর্দান্ত ব্যাটিং এখন শুধুই অতীত, ফর্মহীন এই লিটন অটোচেয়েজ থাকবে আর কতদিন?
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার যাকে বলা হয়, সেই তামিম ইকবার সর্বোচ্চ ১৯ বার শূন্য রানে ফিরেছেন। কিন্ত সেটি ২৪৩টি ম্যাচ খেলে। কিন্ত এরই মধ্যে তামিম ইকবালের সেই লজ্জার রেকর্ড ভাঙতে যেন হন্যে হয়ে উঠেছে লিটন দাস। মাত্র ৯১ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যে ১৪ বার শূন্যের ঘরে কাটা পড়েছেন। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, লিটন তার ক্ষুরধার ফর্মে ফিরে আসতে না পারলে সর্বোচ্চ ডাক মারার কীর্তি একদিন তিনিই করে দেখাবেন।
০, ০, ১, ৬, ২২, লিটন দাসের শেষ পাঁচটি ওয়ানডে ইনিংসের স্কোর এটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি টোয়েন্টিতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সে। তিন ম্যাচ সিরিজে এখানেও ডাক মেরে মেট করেছিলেন ৪৩ রান। এর আগে বিপিএলে শুরুর দিকে রান না পেলেও আসরের শেষে এসে জ্বলে উঠতে পেরেছিলেন। তবে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে খুব কমই দেখা গেছে এই বা হাতি ব্যাটারকে।
ইদানীং তার ব্যাটিং ধরন দেখলেই বোঝা যায় যে সে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। হতে পারে সেটি রান না হওয়ার কারণে, হতে পারে সমালোচনা হওয়ার চাপে। তবে এবার আলোচনার টেবিলে লিটনের একাদশে থাকা না থাকার বিষয়টি থাকা চাই। যেমনভাবে দলের সিনিয়র বোলার মুস্তাফিজকে ছাড়াই খেলে জয় ছিনিয়ে আনছে বাংলাদেশ, তেমনি এখন লিটনকে নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওপেনিংয়ে তার চরম ব্যর্থতা দলের জন্য হুমকিস্বরূপ। সেদিক থেকে নাইম শেখ বা তানজিদ তামিমও আরও কিছু সুযোগ চাইতেই পারে। সিদ্ধান্ত এবার টিম ম্যানেজমেন্টের। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা পরের ম্যাচে লিটনকে ডাক মেরে রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হবে নাকি অন্যদের শেষবারের মতো বাজিয়ে দেখবে।