আগুনে পুড়ছে বহুতল ভবন
আগুনে পুড়ছে বহুতল ভবন

মৃত্যু যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা আবারও জানান দিলো বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড। আগুন লাগার ঠিক পরেই মানুষগুলোর বাঁচার আকুতি সকলকে যেন জানান দিচ্ছিল জীবনের অনিশ্চয়তা এবং মৃত্যুর অনিবার্যতা সম্পর্কে। প্রায় অর্ধশত জীবন,মুহুর্তেই পুড়ে অঙ্গারে পরিণত হলো,মৃতের পোড়া গন্ধে যেন শ্বাস নেওয়া দায়! স্বজনদের আহাজারিতে এখনও ভারী হয়ে আছে রাজধানীর বাতাস। বলছি গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের কথা।

গতকাল রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বেইলি রোডে সাততলা ‘গ্রিন কোজি কটেজ ‘ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে আরো চারটি ইউনিট যোগ দেয়। দুইঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা চারদিকে ছড়িয়ে যায়।বাঁচার জন্যে মানুষ সপ্তম তলায় ও ছাদে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ক্রেনের সাহায্যে ভবনের আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামানোর ব্যবস্থা করেন। অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জন হয়েছে বলে জানা যায়। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দ্য রিপোর্টের সাবেক সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, বুয়েটের দুইজন শিক্ষার্থী, ভিকারুননিসার একজন শিক্ষিকা,  ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা একজন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পরিবারের সদস্য সহ আরো অনেকে।

অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস জানায়, “রেস্তোরাঁ গুলোর প্রতিটিতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হয়েছে।” তারা আরো জানায়,“ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল এবং কোনো জরুরি বহির্গমনের ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া ভবনটিতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না।”

উক্ত ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইল্লিয়িন, খানাস ও পিৎজা ইন সহ আরো শোরুম আছে বলে জানা যায়।