Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বইমেলায়  কপোত-কপোতীদের আনাগোনাই বেশি। তারা সেজেগুজে আসে, বই হাতে স্টলের সামনে ছবি তুলে, কিন্ত বই আর কেনে না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বইমেলার এমন করুণ পরিস্থিতি জানিয়েছে এক স্টলকর্মী।

বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের শতকরা ঠিক কত ভাগ মানুষ বই কেনেন, নাকি বইমেলা শুধুই শাড়ি পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরে বেড়ানো, আর বই হাতে সেল্ফি তোলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। বইমেলায় যে আগের তুলনায় জনসমাগম বেড়েছে তা চোখ বন্ধ করে নিশ্চিতভাবে বলা যায়। বেড়েছে লেখক সংখ্যাও। এবারের বইমেলায় এখন পর্যন্ত একদিনে রেকর্ডসংখ্যক ২৯৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৩ হাজারের মতো বই এবারের বইমেলায় নতুন এসেছে। তবে পাল্লা দিয়ে বই বিক্রির সংখ্যা কী বেড়েছে, সর্বোপরি বইমেলা গেল ১০ বছরের তুলনায় পাঠক সংখ্যা কী বাড়াতে পেরেছে।

chardike-ad

বইমেলার সাথে ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা এমন এক লেখক জানিয়েছেন, তাদের নাকি ডেকে ডেকে বই বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে ৩০ শতাংশ ক্রেতা আর বাকি ৭০ শতাংশই নাকি ঘুরতে আসে। ঘুরে বেড়ানোকে তারা ইতিবাচক মনে করলেও দিনশেষে পাঠকদের বই না কেনার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে লেখকদের। অন্য একজন লেখক বললেন, ক্রেতারা এখন সেলিব্রিটিমুখী। তারা হুমায়ুন, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ থেকে দূরে সরে তথাকথিত ভাইরাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের লেখা বই কেনে। কিন্ত তার মনে হয়, সে বইও তারা খুলে দেখে না।

অনেক লেখক ব্যবস্থাপনার ঘাড়েও দোষ দিচ্ছে। বই মেলাকে ঘিরে মেলার বাইরে বাহারি সব মুখরোচক খাবারের দোকান দেখা যায়। বইয়ের টাকা নাকি যাচ্ছে সেই দোকানিদের পকেটে। ক্রেতারা বই কিনতে এসে ফুল, বেলুন আর খাবার কিনে চলে যায়। কিছু কিছু পাঠক আরও এক ধাপ এগিয়ে ব্যবস্থাপকের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেন। বইমেলায় অনেক প্রেমিকযুগলদের অপ্রীতিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। তাই তারা বাবা মায়ের সাথে আসতে পারেন না এই গরবের মেলায়।

বইমেলার আবেদন বাড়লেও আশাব্যঞ্জক নয় বই বিক্রির সংখ্যা। অনেকের মতে পাঠকের হার তখনই বাড়বে যখন লেখকরা তাদের লেখায় অ আ ক খ বর্ণমালার গুনগত সন্নিবেশ ঘটাতে পারবে।