নতুন করে হাইপারসনিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কথা জানিয়েছে দেশটি। খবর: এএফপির।
এই বছর এটিই হলো উত্তর কোরিয়ার প্রথম অস্ত্র পরীক্ষা। পাশাপাশি এটা দেশটির প্রথম সলিড-ফুয়েল চালিত মধ্যম আওতার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইআরবিএম) পরীক্ষা।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জানায়, এই আইআরবিএম হাইপারসনিক ওয়ারহেডসহ উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই উৎক্ষেপণ প্রতিবেশি দেশগুলোর নিরাপত্তায় কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করবে না এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কও নেই।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জলসীমান্ত জুড়ে উত্তর কোরিয়ার তাজা গুলিবর্ষণের মহড়ার পরপরই পিয়ংইয়ং এই পরীক্ষা চালালো। ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও এই মহড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সীমান্তের দ্বীপগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নিয়েছে ও সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন শেষে দেশটির নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে এ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রণালয় জানায় উত্তর কোরিয়ার এসব তৎপরতা হলো সরাসরি যুদ্ধের উসকানি।
এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়ার এসব উসকানিমূলক তৎপরতা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের পরিষ্কার লঙ্ঘন।