Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

london-houseগত এক দশক ধরে লন্ডনের অভিজাত এলাকাগুলোতে বিদেশিদের বাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান নেহায়েত কম নয়। বাংলাদেশি নাগরিকরা বৃটিশ বাংলাদেশি আত্মীয়স্বজন অথবা বৃটেনে ইনডেফিনিট লিভ টু রেমেইনে আছেন এমন আত্মীয়স্বজনদের ব্যবহার করে, বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে কিনছেন অভিজাত এলাকার বিলাসবহুল বাড়িগুলো। বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।

বৃটিশ রিয়েল এস্টেট প্রপার্টি ব্যবস্থাপনা সংস্থা নাইটস ফ্রাঙ্ক ও বৃটিশ সরকারের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ২০২০ সালে শো হাউস নামের একটি বিজনেস পত্রিকা একটি রিপোর্ট প্রচার করেছিল (২০২০)// ‘https:/www.showhouse.co.uk/news/foreign-byuers-make-up-over-40-of-londons-prime-property-market/’, 17 November. (Knight Frank Gov.uk)

chardike-ad

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল লন্ডনে বিলাসবহুল বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ জাপানের চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শীর্ষে। ২০২০ সালের রিপোর্ট বলেছিল- বিশ্বের মোট দশটি দেশ লন্ডনে বাড়ি কেনার শীর্ষে- ফ্রান্স, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও জাপান। ওই রিপোর্টে দেখা গেছে, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ জাপানকেও হার মানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থান লন্ডনে বিলাসবহুল বাড়ি কেনার এই তালিকায় যে দেশগুলো রয়েছে- সবগুলো দেশই বাংলাদেশের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে বহুগুণ এগিয়ে, তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লন্ডনে বাড়ি কেনা একেবারেই সহজ নয়। শুধু ২০২০ সালের প্রথম নয় মাসেই বাংলাদেশিরা কিনেছিলেন ১২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ডের প্রপার্টি যা বাংলাদেশি কারেন্সিতে দাঁড়ায় ৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০২০ সালে শো হাউসের এই রিপোর্টের পর পেরিয়ে গেছে আরও প্রায় তিনটি বছর। এরই মধ্যে বাংলাদেশিদের বাড়ি কেনার হার আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- বর্তমানে বাংলাদেশিদের বাড়ি কেনার অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে আর বাড়ির সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২৫০টিরও উপরে।

বৃটিশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ সালে বাংলাদেশিদের বাড়ির মালিকানা ছিল মোট ১৫টি আর সেটি ২০২১ সালের পরিসংখ্যান পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১০৫টি। তবে ২০২২ ও ২০২৩ সালের পরিসংখ্যানে প্রকাশিত হলে এর পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৫০টিরও উপরে।

আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে