বাংলাদেশের এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মী আবারও নেওয়া শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ১৩৭ জন রেগুলার ও কমিটেড কর্মী নিয়ে ইপিএস কর্মীদের অষ্টম ফ্লাইট ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং আগামীকাল কোরিয়া সময় ভোর ৬টার দিকে আন্তর্জাতিক ইনছন বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
এ ব্যাপারে ওই ফ্লাইটের যাত্রী ইপিএস কর্মী মো. পারভেজ হাওলাদার বলেন, আমরা যেন ভালোভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারি সে জন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর প্রায় ২১ মাস পর গত ডিসেম্বর থেকে আবারও বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু করে। গত ৫ জানুয়ারি মোট ৯২ জন রেগুলার ও কমিটেড কর্মী কোরিয়া যান। এর মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫৩ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যান। গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান প্রায় ১৫০ জন বাংলাদেশি কর্মী।
নতুন বছরে যে ৯২ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যান, তাদের মধ্যে ৪৪ জন কর্মী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বাকিরা পুরনো কর্মী। বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া।
এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে না কোরিয়ান শিল্পেও শ্রমশক্তি সরবরাহে অবদান রেখেছে বাংলাদেশি কর্মীরা। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ইপিএস পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন।