যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’ এর করা ২০২২ সালের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে পাঁচ ধাপ উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের। মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের এই পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এই সূচকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। অক্টোবরে এই সূচকে বাংলাদেশ ১০৮তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর কসোভো এবং লিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১০৩তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান (১০৮তম) এবং নেপালের (১০৫তম) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। হ্যানলির সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
তবে প্রতিবেশী ভারত সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। হ্যানলির এই পাসপোর্ট সূচকে ভারতের উন্নতি ঘটেছে। ৮৩তম অবস্থানে থাকা এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৬০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন।
এবারের এই সূচকে যৌথভাবে শীর্ষে থাকা জাপান এবং সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ১৯২। অর্থাৎ জাপান এবং সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে (৫৮তম) রয়েছে। এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা ৮৮ দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।
হ্যানলির ২০২২ সালের পাসপোর্ট সূচকে জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।
মূলত ভিসা ছাড়াই একটি পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করেই এই সূচক তৈরি করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে অনেক দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবারের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বিশ্বের ১৯৯ দেশের সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ অবস্থান পাওয়ায় হ্যানলি মোট ১১১টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে। গত ১৭ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।