দুর্নীতির দায়ে ২২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, নববর্ষ উপলক্ষে যেসব বন্দি প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে এই তালিকায় স্থান পান তিনি। এর আগে তাকে ক্ষমা করার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।
ইম্পিচমেন্টের শিকার হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার এক বছরের মাথায় ২০১৮ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হন ৬৯ বছর বয়সী পার্ক জিউন-হাই। দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট তিনি।
এই বছর ঘাড় ও পিঠে মারাত্মক ব্যাথা নিয়ে তিন বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পার্ক জিউন-হাই। এছাড়া শুক্রবার সরকারের কাছ থেকে নির্দোষ ঘোষিত পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হান মাইয়িং-সুক। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত দুই বছর কারাগারে ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ১৬টিতেই দোষী সাব্যস্ত হন পার্ক জিউন-হাই। এসবের বেশিরভাগই ছিল ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংশ্লিষ্ট। আদালতের রায়ে বলা হয় ঘনিষ্ঠ বন্ধ চোই সুন-সিল এর সঙ্গে মিলে তিনি ইলেক্ট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং এবং রিটেইল চেইন লোত্তের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাপ দিয়ে চোই পরিচালিত একটি ফাউন্ডেশনে লাখ লাখ ডলার দিতে বাধ্য করেন। এছাড়াও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে প্রেসিডেন্টের গোপনীয় নথি ফাঁস করে দেওয়ায় অভিযুক্ত হন পার্ক জিউন-হাই।
তবে সবসময়ই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। পার্ক প্রথমে মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ হাজার কোটি ইয়োন জরিমানার মুখে পড়েন। পরে একটি উচ্চ আদালত জরিমানা কমিয়ে দেয় এবং দুর্নীতির দায়ে ১৫ বছর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়।