Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

coronaদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩৫ জন। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মিলেছে আরও দুই হাজার ৯৬০ জনের দেহে। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫।

করোনাভাইরাস বিষয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

chardike-ad

তিনি ৮১টি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৭১৪টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৯৬০ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন তিন হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৩১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জনে।

কোন বয়সী এবং কোন বিভাগে কতজনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ ও নারী নয়জন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী চারজন। ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুজন এবং রংপুর বিভাগের দুজন ছিলেন।

গতকালের তথ্য
গতকাল সোমবারের (২৭ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পাওয়া যায় আরও দুই হাজার ৭৭২ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
মঙ্গলবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি
চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে গোটা বিশ্বকে। গত ডিসেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৫৭ হাজার প্রায়। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি দুই লাখ ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।