Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kuwait-bangladeshiমহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। বদলে গেছে স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কুয়েত সরকার ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে ধাপে ধাপে ফিরছে স্বাভাবিক অবস্থা। ৩০ জুন দ্বিতীয় ধাপে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান চালু হলে অল্প কিছু বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ ফিরে পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রবাসী এখনও কর্মহীন বেকার অবস্থায় দিন কাটাছে।

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে অর্থকষ্টে পড়েছে। নিজেদের খারাপ পরিস্থিতি ও দেশে পারিবারিক কষ্টে অনেকেই অসু্স্থ হয়ে পড়েছে। অর্থ কষ্টের ফলে ভালোভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। এছাড়া বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিশেষ ফ্লাইটের দাবি জানিয়েছে প্রবাসীরা। চলমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে থাকা খাওয়া-খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এসব বাংলাদেশিরা। এছাড়া বছর শেষে আকামা খরচসহ সবকিছু মিলে এক কঠিন পরিস্থিতিতে কাটছে তাদের জীবন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের সাহার্য সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশিরা।

chardike-ad

কুয়েত প্রবাসী চট্টগ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, ১ মাস আগে হঠাৎ করে হাত পা অবশ হয়ে গেলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়। মাসখানেক চিকিৎসার পর এখন কোনোরকম সুস্থ আছেন। শরীরে কাঁপুনির জন্য ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। ৭-৮ বছর আগে দেশে চিকিৎসা করে ভালো ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর রুমেই সময় কাটছে অসুস্থ জসিমের।

এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই একেবারে দেশে চলে যেতে চাইলেও ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সেটাও হচ্ছে না। এদিকে টানা প্রায় চারমাস লকডাউনের পর প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা মাহবুল্লাহ ও জিলিব আল সুয়েখ আগামী ৯ জুলাই থেকে লকডাউন খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ।