২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের উহান থেকে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিশ্বের এক কোটিরও বেশি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, অনেকে দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মক ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে ৪ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এখন প্রকোপ চলছে আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। ইউরোপের কিছু দেশেও ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চীন জপানেও। ফলে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
টানা তিনদিন আক্রান্তে রেকর্ডের পর সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। সেখানে মারা গেছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯০০-এর বেশি মানুষ। বিশ্বে সংক্রমণ-মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত প্রায় ১৩ লাখের মধ্যে ৫৬ হাজারের বেশি মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে আগের রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। আগে বুধবার আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৮৮০, বৃহস্পতিবার আরও ৪০ হাজার জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুক্রবার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে তা ছিল ৪৫ হাজার ২৪২ জন।
এদিকে লকডাউন শিথিলের পর থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। শনিবার দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়ায়। ভারতে শেষ এক লাখ সংক্রমণে সময় লেগেছে মাত্র ছয় দিন! সংক্রমণ বাড়ছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও।
এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব দেশের প্রতি এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ দ্বিগুণ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। বিশেষ করে দুই আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি।