লকডাউন তোলার প্রথম পর্ব ‘আনলক-১’ শুরুর পর থেকেই ভারতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। শেষ একদিনে দেশটি নতুন রোগী বেড়েছে ১১ হাজার ৭৭৫ জন। ফলে, ভারতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ জন।
বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত দেশ ভারত। তালিকায় তাদের ওপর রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও রাশিয়া। তবে এশিয়ার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় তো বটেই, মৃত্যুতেও সবার শীর্ষে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৮ হাজার ৮৮৬ জন করোনায় মারা গেছেন।
ভারতে বর্তমানে প্রতি ১৭.৪ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুদিন আগেও এটি ছিল ১৫.৪। ফলে সংক্রমণের গতি কিছুটা হলেও কমেছে মনে করে সান্ত্বনা নিচ্ছে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মাস দুয়েক লকডাউন চলাকালে প্রতি ৩.৪ দিনে আক্রান্তের দ্বিগুণ হচ্ছিল বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা।
ভারতে সংক্রমণ বাড়লেও আশা দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। দেশটিতে করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ, সেখানকার প্রায় অর্ধেক রোগীই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ভারতে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই একটি রাজ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ১৪১ জন। দ্বিতীয় তামিলনাড়ু। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৮ জন। তৃতীয় দিল্লিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৭ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
আগামী ১-২ মাসের ভেতর ভারত করোনা সংক্রমণের শিখরে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। এমন পরিস্থিতিতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরও কঠোর করতে রাজ্যগুলোর কাছে ইতোমধ্যেই বার্তা পাঠিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী ১৬ ও ১৭ জুন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টাইমস