জাপানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি চার জন কোভিড-১৯ পরীক্ষার সার্টিফিকেটধারী বাংলাদেশি যাত্রীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নিলো জাপান। টেস্ট রিপোর্টে বলা ছিল ওই যাত্রীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় এবং তাদের ভ্রমণে কোনো ঝুঁকি নেই।
এ প্রসঙ্গে বিমানের সিইও এম মোকাব্বির হোসেন বলেন, জাপানে যাওয়া আমাদের চার জন যাত্রী কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ার পর সে দেশের কর্তৃপক্ষ বিমানের বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া ১২ বাংলাদেশি যাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অথচ তাদের কাছে যে হেলথ সার্টিফিকেট ছিল তাতে বলা হয়েছিল যে তারা করোনায় আক্রান্ত নন। দক্ষিণ কোরিয়া এরকম কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কি না জানতে চাইলে বিমানের সিইও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমরা বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করি না। তাই এই ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাপানের সিভিল এভিয়েশন ব্যুরো ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি শর্তে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল। তাদের শর্ত ছিল, চার্টার্ড ফ্লাইটের যাত্রীদের অবশ্যই হেলথ সার্টিফিকেট থাকতে হবে যাতে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা করোনায় আক্রান্ত নন। সেই সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে করোনার উপসর্গও থাকা চলবে না।
২৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ বিমান জাপান ও ঢাকার মধ্যে চারটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন, কিছু যাত্রীর জালিয়াতির কারণে জাপান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৬ মার্চ থেকে চীন বাদে অন্য সব আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে মহামারির মধ্যেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চার্টার্ড ফ্লাইট চলছে।
সৌজন্যে- ডেইলি স্টার