Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

yo-jongউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জংকে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থানে থেকে প্রচারণার নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে ভাইকে সহযোগিতার পাশাপাশি স্বতন্ত্র নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব পেলেন কিম ইয়ো। খবর-রয়টার্সের।

বিশ্বাস করা হয়, উত্তর কোরীয় নেতার একমাত্র স্বজন হিসেবে ৩০ বছর বয়সী কিম ইয়ো রাজনীতিতে জনসাধারণের ভূমিকা পালন করছেন। ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার শীতকালিন অলিম্পিকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক নজর কাড়েন কিম ইয়ো জং। এর পর থেকে তাকে প্রায়ই ভাই উনের সবকিছু দেখভাল করতে দেখা গেছে। এমনকি ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে একটি ট্রেন স্টেশনে ভাইয়ের জন্য ছাইদানি ধরে থাকতেও দেখা গেছে তাকে। বলা হচ্ছে, চলতি বছর রাজনৈতিক অঙ্গনে বোনকে প্রভাবশালী করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং।

chardike-ad

যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার উন্মুক্ত সূত্রের প্রাক্তন গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক র‌্যাচেল মিনইয়ং লি বলেন, ‘এর আগে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কিম ইয়ো জংকে কিম জং উনের বোন, তার প্রোটোকল কর্মকর্তা কিংবা তার সহগামী কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। এখন উত্তর কোরীয়রা নিশ্চিত হলো এর বাইরেও সে অনেক কিছু।’

গত মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে ইয়োর প্রথম বিবৃতি ছাপা হয়। সেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সমালোচনা করেন। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যেরও সমালোচনা করতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন করার হুমকি দেয়।

দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়া জানায়, দেশটির বিরুদ্ধে নিতে যাওয়া কয়েকটি পদক্ষেপের একটি হল ওই যোগাযোগ বন্ধ রাখা। পাশাপাশি সামরিক যোগাযোগ চ্যানেলও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

গত মঙ্গলবার থেকে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কেসংয়ে অবস্থিত দুই কোরিয়ার লিয়াজোঁ অফিসে দৈনিক ফোনকল বন্ধ থাকবে। অনেক আলাপ-আলোচনার পর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের সংকট কমানোর জন্য ২০১৮ সালে লিয়াজোঁ অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটলেও কোনো শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছানোয় আদতে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া এখনো যুদ্ধাবস্থায়ই রয়েছে। তবে ২১ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৮ জুন সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার করা কলের উত্তর দেয়নি উত্তর কোরিয়া। তবে বিকেলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং হুমকি দিয়েছিলেন, দক্ষিণ থেকে উত্তরে দেশদ্রোহীদের লিফলেট পাঠানো বন্ধ না হলে, লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ করে দেয়া হবে।

২০১৮ সালের পানমুনজম সম্মেলনে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে কিম জং উনের যে শান্তিচুক্তি হয়েছিল, লিফলেট ক্যাম্পেইনের কারণে সেটি ভঙ্গ হয়েছে বলে জানান তিনি। উত্তর কোরিয়ার দেশদ্রোহীরা প্রায়ই দক্ষিণ থেকে ব্যালুনের মাধ্যমে উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে লিফলেট বা বার্তা পাঠিয়ে থাকে।