Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

andrew-kishoreদেশবরেণ্য আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। আজ ৯ মে। কাঁটায় কাঁটায় ৮ মাস অর্থাৎ ২৪০ দিন, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাটানো হলো তার। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে জীবনের অনেক ভয়ঙ্কর সময় পার করেছেন তিনি।

তবে এখন অনেকটাই ভালো আছেন এন্ড্রু কিশোর। নিজের দেশে ফেরার জন্য ছটফট করছেন গায়ক। এমনটাই জানান অ্যান্ড্রু কিশোরের শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস।

chardike-ad

ফেসবুকে অ্যান্ড্রু কিশোরের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে মোমিন বিশ্বাস লিখেছেন, ‘দাদাকে বললাম, দাদা আজকে ৯ তারিখ, পাক্কা আট মাস, দাদা একটু চুপ করে থেকে বললেন -‘হ্যাঁ রে দিনগুলো গুনতে গুনতে…।’

মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোর। এর আগে সিঙ্গাপুরে হুইল চেয়ারে বসেও একটি অনুষ্ঠানে গানও শুনিয়েছিলেন তিনি। চলছিল দেশে ফেরার প্রস্তুতিও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশে ফেরা হয়নি তার। বিশেষ ফ্লাইটে বিদেশে আটকে পড়াদের দেশে আনছে সরকার। এন্ড্রু কিশোর কী ফিরতে যাচ্ছেন এমন কোনো ফ্লাইটে?

গুণী এই শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের লিম সুন থাইয়ের অধীনে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন অনেকটাই সুস্থ এন্ড্রু কিশোর। এমনকি চাইলে এখন দেশেও ফিরে যেতে পারেন। তবে কয়েক মাস পর পর নিয়মিত চেকআপের জন্য আসতে হবে তাকে।

জানা গেল, সব মিলিয়ে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গায়কের পরিবার। শিগগিরই দেশে ফিরবেন এন্ড্রু কিশোর। সঠিক ব্যবস্থা হলে চলতি সপ্তাহেও দেশে ফিরতে পারেন তিনি।

সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির হাজার হাজার গান গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে, পড়েনা চোখের পলক ইত্যাদি।