কানাডার অটোয়া, টরেন্টো, এডমন্টন ও হ্যামিল্টন শহরে রয়েছে অনেক মসজিদ। এসব মসজিদে নিয়মিত আজান ও নামাজ হলেও মাইকে কখনও আজান দেয়া হয় না। মহামারি করোনার এ সময়ে রমজান উপলক্ষে এবারই প্রথম দেশটির মসজিদে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিবিসি নিউজসহ অনেক গণমাধ্যমই এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে কানাডিয়ান প্রশাসন মাইকে আজানের এ অনুমতি দিয়েছে। ফলে অটোয়া, টরেন্টো, এডমন্টন ও হ্যামিল্টন শহরের বিভিন্ন মসজিদের মাইকে জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের আজান দেয়া হচ্ছে। তবে এ সুযোগ শুধু রমজান মাসেই থাকছে। রমজান মাস শেষ হলে মাইকে আজান দেয়ার এ সুযোগ থাকবে না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টরেন্টোর মসজিদে ওমর-এ মহামারির এ সময়ে রমজানে প্রথম মাইকে আজান দেয়া হয়। মসজিদটির ইমাম হাজি আবু বকর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন এ অনুমতিতে আমরা খুবই খুশি।
ইমাম হাজি আবু বকর আরও জানান, ডোনল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ের পূর্বদিকে ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত মদিনা মসজিদেও গত সপ্তাহ থেকে নামাজের সময় আজান প্রচার করা হচ্ছে।
লোকজনকে মসজিদে সমবেত হওয়ার জন্য মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়া নয়, বরং নামাজ, ইফতার ও সাহরির সময় জানিয়ে দেয়ার জন্যই এ আজান দেয়া। যাতে মানুষ যথা সময়ে নামাজ ও রমজানের ইবাদতগুলো পালন করতে পারে।
কানাডায় মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়ার অনুমতি নেই। হ্যামিল্টন শহরের মাউন্টেন মসজিদের ইমাম সাইয়্যেদ তুরা বলেন, দেশটির মসজিদে মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়ায় কানাডায় বসবাস করা সব মুসলিমদের জন্যই ঐতিহাসিক। কারণ এর আগে এখানকার মানুষ মাইকে আজান দেয়া শোনেনি। অনুমতি পাওয়ায় প্রথমবারের মতো তাদের সে সৌভাগ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, রমজান মাস শেষ হলে এই অনুমতি চলে যাবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে রমজান মাসের পরও মাইকে আজান দেয়া যায়। এ ছাড়া কানাডার সব শহরে যেন এই অনুমতি পাওয়া যায় সে লক্ষ্যেও কাজ
কানাডার মসজিদে মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজানের অনুমতির জন্য মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করেছেন রিজেন্ট পার্কের মুসলিম নারী মেয়র সুরিয়া ইবরাহিম। তিনি বলেন, করোনার এ সময়ে সবাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। এ সময়ে মসজিদে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি লাভ অত্যন্ত আবেগময়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল থেকে কানাডায় পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত চলবে এ রমজান। ততদিন মাইকে আজান দেয়ার সুযোগ পাবে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের মসজিদগুলো।