জাতীয় দলের নয়, তবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ খেলার কারণে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিভুক্ত মোহাম্মদ আশরাফুলসহ আরও ৯৬জন ক্রিকেটার। সে হিসেবে বিসিবির কাছ থেকে নিয়মিত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন তারা। করোনার কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, চুক্তিতে থাকা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের তিন মাসের পারিশ্রমিক একসঙ্গে দেয়া হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে। সেই তিন মাসের পারিশ্রমিক করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে দান করে দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
জাতীয় দলের খেলছেন কিংবা আগে খেলেছেন- এমন ২৭ জন ক্রিকেটার তাদের এক মাসের পারিশ্রমিকের অর্ধেক দিয়ে মোট ৩১ লাখ টাকা করোনা মোকাবেলার তহবিলে দান করেছিলেন। এর বাইরেও ক্রিকেটাররা যে যার জায়গা থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন, পাশে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় মানুষের।
এরই মধ্যে মুশফিক, সাকিব এবং আশরাফুলরা ঘোষণা দিয়েছেন তাদের প্রিয় এবং রেকর্ড গড়া ব্যাট নিলামে তুলে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে দান করার। সাকিব আল হাসানের বিশ্বকাপে খেলা ব্যাট নিলামে দিয়ে ২০ লাখ টাকায় বিক্রিও হয়েছে।
করোনার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগসহ ঘরোয়া ক্রিকেটের নানা আসর। যে কারণে বেশ কিছু ক্রিকেটার আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গেছেন বলেও খবরে প্রকাশ। যে কারণে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় লিগে খেলা চুক্তিভুক্ত ৯৬জন ক্রিকেটারকে তিন মাসের পারিশ্রমিক একসঙ্গে প্রদান করেছে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবির চুক্তিতে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলও। তিনিও একসঙ্গে তিন মাসের পারিশ্রমিক পেয়েছেন বিসিবির কাছ থেকে। সব মিলিয়ে তার একাউন্টে এসেছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা।
এই টাকাটা আশরাফুল নিজে গ্রহণ করেননি। ব্যায় করে দিয়েছেন করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য। মোহাম্মদ আশরাফুল নিজেই আজ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিসিবির কাছ থেকে তিন মাসের যে পারিশ্রমিক একসঙ্গে পেয়েছি, সেগুলো দান করেছি করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে।’
আশরাফুল আরো বলেন, ‘এখানে টাকার অঙ্কটা হয়তো খুব বেশি নয়। ৮৫ হাজার টাকা। তবে, বিসিবি থেকে আসার পর সিদ্ধান্ত নিই এগুলো আমি দিয়ে দেবো করোনা ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে।’
তবে কোনো ফান্ডে এই টাকা জমা দেননি আশরাফুল। নিজ এলাকার কিছু অসহায় মানুষ এবং বিসিবিতে কাজ করা অসহায় টিম বয়, গ্রাউন্ডসম্যানসহ ছোট কাজ করা অন্য স্টাফদের এই টাকা দান করেছেন তিনি। করোনায় সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই মানুষগুলোও পড়ে গেছেন নিদারুণ অর্থকষ্টে।